সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এটা রাজনীতির সময় নয়। একত্রিত থাকার সময়। বার্তা দিয়েছেন খোদ দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। রাহুল গান্ধী নিজেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে কংগ্রেসের একেবারে শীর্ষস্তরের নেতারা এখনই পহেলগাঁও নিয়ে রাজনীতি করতে না চাইলেও দলের অন্য নেতারা রাখঢাক-সৌজন্য কোনওটাই রাখছেন না। খোদ গান্ধী পরিবারের জামাতা রবার্ট বঢরা এই হামলার জন্য সরাসরি নিশানা করেছেন মোদি সরকারের ‘বিভাজন’ নীতিকে। তাঁর দাবি, কেন্দ্রের উগ্র হিন্দুত্বের নীতিই এই ঘটনার জন্য দায়ী।
বঢরার ব্যাখ্যা, “জঙ্গিরা ধর্ম দেখে দেখে আক্রমণ করেছে। কেন এমনটা করছে জানেন? কারণ আমরা আমাদের দেশটাকে হিন্দু, মুসলমান এবং খ্রিস্টানে ভাগ করে ফেলেছি। ধর্ম দেখে মানুষকে মারাটা আসলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বার্তা। এটার একটাই বার্তা, মুসলিমরা ভয় পাচ্ছে। সংখ্যালঘুরা আতঙ্কিত।” প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামীর বক্তব্য, “আজ দেশে এত অশান্তি কেন, সাম্প্রদায়িক হানাহানি কেন? এতেই তো এই বিভেদ তৈরি হচ্ছে। এখন একটা ভাবনা মুসলিমদের মধ্যে কাজ করছে। তাঁদের মনে হচ্ছে, সব সমস্যার মূলে এই হিন্দুরাই। এটাই বন্ধ করতে হবে।” বস্তুত রবার্টের যুক্তি, মোদির প্রবল হিন্দুত্ব দেশের সংখ্যালঘুদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করছে। সেটাই পালটা আক্রমণে বাধ্য করছে মুসলিমদের।”
বঢরা অবশ্য বলছেন, তাঁর এই বক্তব্য একান্তই ব্যক্তিগত। দলের নয়। কিন্তু শুনছে কে? বিতর্কের গন্ধ পেয়ে ঝাপিয়ে পড়েছে বিজেপি। গান্ধী জামাতার ওই বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে বিজেপির তরফে। বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলছেন, “অবিশ্বাস্য। সোনিয়া গান্ধীর জামাই রবার্ট বঢরা, এই জঙ্গি হামলার নিন্দা না করে সেটাকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন! এখানেই শেষ নয়, এই হামলার জন্য ভারতকে দায়ী করছেন, পাকিস্তানি জঙ্গিদের নিয়ে একটা কথাও বললেন না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.