ব্রতদীপ ভট্টাচার্য: উৎসবের আনন্দ মুহূর্তে ম্লান হয়ে গেল বনগাঁর চাঁদপাড়ার দাস পরিবারে। সেই সঙ্গে চরম দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠার ছাপ পড়ল উত্তর ২৪ পরগনার আরও ন’টি পরিবারের সদস্যদের কপালে! পুজোর ছুটিতে শিমলা বেড়াতে গিয়েই বিপত্তি। গাড়ি খাদে পড়ে মৃত্যু হল বাঙালি পর্যটক বিশ্বজিৎ দাসের (২৬)। মৃত ওই পর্যটক বনগাঁর চাঁদপাড়া ডেহুপুলের বাসিন্দা। মারাত্মকভাবে আহত গাড়ির চালক-সহ ১০ জন। তাঁদের মধ্যে ন’জন বাঙালি। সকলেরই বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনায়। রবিবার সকালে এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই বিশ্বজিৎ দাসের পরিবারে নেমে আসে গভীর শোকের ছায়া। উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়েন বাড়ির লোকজন। এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সোমবারই শিমলার উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন আহত ও নিহতের বাড়ির লোকজন।
[সবরীমালায় প্রবেশের পথে ভক্তদের হেনস্তা, গুরুতর অসুস্থ মহিলা]
সপ্তমীর সকালে শিমলা রওনা দেন পর্যটকদের একটি দল। অধিকাংশেরই বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের নন্দনকাননে। বাকিরা বনগাঁর চাঁদপাড়া ও বারাসতের বাসিন্দা। এই পর্যটকদের মধ্যে দুই দম্পতিও রয়েছেন। শনিবার তাঁরা সকলেই ছিলেন মানালির একটি হোটেলে। রবিবার সকালে একটি গাড়ি ভাড়া নিয়ে সকলে মিলে রোটাং পাস যাচ্ছিলেন। মাঝপথেই পর্যটক বোঝাই সেই গাড়ি আচমকা খাদে পড়ে যায়। বিশ্বজিৎ দাস বসেছিলেন গাড়ির সামনের সিটে। খাদে পড়ার সময় গাড়ির দরজা খুলে বিশ্বজিৎ ছিটকে নিচে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘণ্টাখানেক পর উদ্ধারের কাজ শুরু করে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। উদ্ধারের সময় দেখা যায়, খাদে পাথরের খাঁজে আটকে গিয়েছে গাড়িটি। তখনও সেই গাড়ির মধ্যে আটকে ছিলেন বাকিরা। অপেক্ষাকৃত কম জখম হওয়া আরও এক পর্যটক প্রশান্ত দাস দুর্ঘটনার খবর বাবা পরিমল দাসকে জানান মোবাইলে। পর্যটকরা সকলেই সকলের পরিচিত। অনেক আগে থেকেই তাঁরা ঠিক করেছিলেন, এবারের পুজোয় বেড়াতে যাওয়া হবে শিমলায়। সেই মতো প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন। বিশ্বজিৎ দাস একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী ছিলেন। তাঁরা সকলে দল বেঁধে সপ্তমীতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান শিমলার উদ্দেশে। ফেরার কথা ছিল লক্ষ্মীপুজোয়।
[ ৪ মাসের বাছুরকে ধর্ষণ! রণক্ষেত্র উত্তরপ্রদেশের মীরাট]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.