সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও প্রতিবাদ, কোনও বিতর্কেই বদলাল না সিদ্ধান্ত। দলিত আইএএস অফিসার খুনে অভিযুক্ত গ্যাংস্টার নেতাকে মুক্তি দিয়ে দিল বিহারের নীতীশ কুমার-তেজস্বী যাদবের জোট সরকার। ১৫ বছর জেল খাটার পর বৃহস্পতিবার মুক্তি পেয়ে গেলেন আরজেডির ওই গ্যাংস্টার নেতা। আরজেডি নেতা আনন্দ মোহন সিং, যার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ রয়েছে, তাঁকে মুক্তি দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি।
১৯৯৪ সালে এক দলিত আইএএসকে প্রকাশ্যে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হন আনন্দ মোহন সিং (Ananda Mohon Singh)। ২০০৭ সালে তাঁকে ফাঁসির সাজা শোনায় এক স্থানীয় আদালত। পরে পাটনা হাই কোর্ট ফাঁসির সাজা কমিয়ে ওই RJD নেতাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয়। তখন থেকে প্রায় ১৫ বছর জেলে ছিলেন আরজেডি নেতা।
কিন্তু সম্প্রতি বিহারের আরজেডি-জেডিইউ (JDU) জোট সরকার জেলমুক্তির নিয়মে বদল এনেছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী এখন থেকে সরকারি আমলা খুনে অভিযুক্তরাও সাজা মকুবের আওতায় আসবেন। সেই আইন ব্যবহার করেই জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হল আরজেডির (RJD) গ্যাংস্টার নেতাকে। এই গ্যাংস্টার নেতাকে মুক্তি দেওয়া নিয়ে বিরোধীদের প্রবল আক্রমণের মুখে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বিজেপির অমিত মালব্য বলছেন,”নীতীশ কুমার নতুন করে গ্যাংস্টারদের সঙ্গে ঘর করা শিখছেন শুধু ক্ষমতা দখল করে রাখার জন্য বা দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য।”
বিহার সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতা করেছেন নিহত আইএএস আধিকারক এস কৃষ্ণণের স্ত্রী উমা কৃষ্ণণও। তিনি বলছেন, “সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে অপরাধীরা উৎসাহ পাবে। বার্তা যাবে, আপনি অপরাধ করতেই পারেন, রাজনীতির ছত্রছায়ায় থাকলেই বেঁচে যাবেন।” এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি। উমা কৃষ্ণণের আশা, সাধারণ নাগরিকরাই এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করবেন। এদিকে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে একটি দলিত সংগঠন। তাঁরা একটি জনস্বার্থ মামলা করে বিহার সরকারের নতুন এই নিয়ম বাতিল করার দাবি জানিয়েছে। ওই সংগঠনের দাবি, বিহার সরকারের এই নয়া নিয়ম আসলে অপরাধীদের পক্ষে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.