Advertisement
Advertisement

Breaking News

Lalu Prasad Yadav

মুখে ‘দুর্নীতির ছাপ’, RJD’র নির্বাচনী পোস্টার থেকে বাদ লালুপ্রসাদ যাদব

'জঙ্গলরাজ' শেষ করার প্রতিশ্রুতিতে ভর করে বিহারে ক্ষমতায় এসেছিলেন নীতীশ কুমার।

RJD drops Lalu Prasad Yadav from election posters | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 25, 2020 5:44 pm
  • Updated:September 25, 2020 6:02 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় দু’দশকের ‘জঙ্গলরাজ’ শেষ করার প্রতিশ্রুতিতে ভর করে বিহারে ক্ষমতায় এসেছিলেন নীতীশ কুমার। সবটা না হলেও, কিছুটা কথা অন্তত তিনি রেখেছেন। উন্নয়নের নিরিখেই হোক বা প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাপকাঠিতে, নয়ের দশকের ‘লালুর বিহারের’ সঙ্গে নীতীশ রাজ্যের ফারাক বিস্তর। এবং তা সদর্থক। সেই কথা বুঝতে পেরেই এবার ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ লালুপ্রসাদ যাদবকে নির্বাচনী পোস্টারে জায়গা দিল না আরজেডি (RJD)।

[আরও পড়ুন: ভেজাল রুখতে কড়া কেন্দ্র, এবার থেকে সরষের তেলে মেশানো যাবে না ভোজ্য তেলও!]

করোনা আবহেও যথাসময়েই নির্বাচন হবে বিহারে। যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিহারের নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। রাজনৈতিকভাবে অতি গুরুত্বপূর্ণ এই রাজ্যটির নির্বাচন হবে ৩ দফায়। ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে ১০ নভেম্বর। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জেডিইউ-বিজেপির শাসক জোটের সঙ্গে বিরোধীদের পোস্টারের লড়াই তুঙ্গে। এবারেও বিহারে ‘ন্যায় ও উন্নয়নের’ প্রতিশ্রুতি দিয়ে পোস্টারে হাতজোড় অবস্থায় দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিহারের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে। এখানে বলে রাখা ভাল, ‘সাম্প্রদায়িক’ তকমা দিলেও, ব্যক্তিগতভাবে মোদিকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলার মতো নৈতিক অবস্থান বা বিশ্বাসযোগ্যতা কোনও রাজনৈতিক দলের নেই। তাই, গত লোকসভা নির্বাচনে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ শ্লোগান দিয়ে জনতার দরবারে কংগ্রেস ও রাহুল গান্ধীর দুর্দশার কথা মনে রেখেছে আরজেডি। ফলে রণনীতি পালটে এবার দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ‘তরুণ তুর্কি’ তেজস্বী যাদবকেই প্রচারের মুখ করে নিয়েছে আরজেডি। আর পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী হয়ে জেলের সাজাপ্রাপ্ত লালুপ্রসাদ যাদবকে আপাতত ‘বোঝা’ মনে করেই একপাশে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন নির্বাচনী বিশ্লেষকরা। কারণ লালুকে মুখ করলে ফের দুর্নীতি ইস্যুতে জেডিইউ’র হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে বলে আশঙ্কা দলের।

Advertisement

উল্লেখ্য, আগামী ২৯ নভেম্বর শেষ হচ্ছে বিহারের বর্তমান সরকারের মেয়াদ। ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভার ৩৮ টি আসন তপশিলি জাতির জন্য এবং ২ টি আসনের তপশিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত। প্রথম দফায় ১৬টি জেলার ৭১ আসনে নির্বাচন হবে ২৮ অক্টোবর। দ্বিতীয় দফায় ১৭ দফার ৯১ টি আসনে নির্বাচন হবে ৩ নভেম্বর। তৃতীয় দফার ১৫ জেলার ৭৮ আসনে ভোট হবে ৭ নভেম্বর।করোনা আবহে যেখানে গোটা বিশ্বের ৭০ টি দেশ বিভিন্ন নির্বাচন পিছিয়ে দিয়েছে, সেখানে এদেশের কমিশন সতর্কতা অবলম্বন করেই নির্বাচনের পথে হাঁটল। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা ঘোষণা করেছেন, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কমিশন সবরকম সচেতনতা বজায় রাখবে।

[আরও পড়ুন: ‘কৃষি বিল নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে’, দীনদয়ালের জন্মদিনে বিরোধীদের তোপ মোদির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement