সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীর্ষকর্তাদের টানাপোড়েন কাটিয়ে থিতু হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের নতুন প্রধান হলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি ঋষি কুমার শুক্লা। ১৯৮৩ ব্যাচের আইপিএস তিনি। এই সংকটের মুহূর্তে অন্তর্বর্তী দায়িত্ব সামলানো নাগেশ্বর রাওয়ের থেকে দায়িত্ব পুরোপুরি হস্তান্তরিত হবে শুক্লার হাতে। তবে এই দায়িত্ব তাঁর হাতে দু’বছরের জন্য থাকবে।
গত বছরের শেষদিকে সিবিআইয়ের শীর্ষকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু হওয়ায় সংস্থায় বেশ খানিকটা বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ডিরেক্টর অলোক ভার্মা, ডেপুটি ডিরেক্টর রাকেশ অাস্থানার মধ্যে আবার অন্তর্দ্বন্দ্বও শুরু হয়। রাতারাতি সিভিসি-র সিদ্ধান্তে সরিয়ে দেওয়া হয় অলোক ভার্মাকে। জটিলতা বাড়তে থাকায় মামলা পৌঁছায় সুপ্রিম কোর্টে। রাকেশ অাস্থানার বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সাময়িকভাবে বরখাস্ত হন তিনিও। মধ্যবর্তী সময়ে কাজ সামলানোর ভার দেওয়া হয় নাগেশ্বর রাও নামে এক কর্তাকে। তবে সুপ্রিম কোর্ট তাঁর কাজের পরিধি বেঁধে দেয়। শুধুমাত্র দপ্তরের কাজ করবেন রাও, কোনওরকম সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। এমনই নির্দেশ ছিল শীর্ষ আদালতের। সিভিসির এই সিদ্ধান্ত বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে।
অন্তর্বর্তী বাজেট ‘বেআইনি’, খারিজের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন আইনজীবীর
সুপ্রিম কোর্টে কয়েক দফা শুনানির পর বিচারপতিরা অলোক ভার্মার অপসারণের বিরোধিতা করে তাঁকে পদে ফিরিয়ে আনার পরামর্শ দেন। তিনি কাজে যোগদান করলেও, কার্যত লাভ হয় না। পরের দিনই তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বরখাস্ত হতে হয়। সংকট আরও তীব্র হয় দেশের সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থার অন্দরে। এই পরিস্থিতিতে পিছিয়ে যায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত। নতুন সিবিআই প্রধানকে বেছে নিতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন চিফ ভিজিল্যান্স কমিশন দফায় দফায় বৈঠকে বসে। সিভিসির অন্যতম সদস্য কংগ্রেস দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে অনেকের নাম প্রস্তাব করেন। তবে কোনওভাবেই সহমত হননি সিভিসির সদস্যরা। এরই মাঝে শোনা যায়, সিবিআই অধিকর্তার দৌড়ে আছেন এক মহিলা আইপিএস। এমনকী প্রতিযোগিতায় তিনি অনেকটাই এগিয়ে বলেও গুঞ্জন ওঠে দিল্লির পুলিশ মহলে।
বাজেটে পরপর ছক্কা মোদির, গালে হাত দিয়ে বসে রইলেন ‘হতাশ’ রাহুল
সমস্ত জল্পনা কাটিয়ে অবশ্য শনিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হল। সিবিআইয়ের নতুন প্রধান হিসেবে মনোনীত হলেন আইপিএস ঋষি কুমার শুক্লা। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি ঋষি কুমার ১৯৮৩ সালের আইপিএস ব্যাচের ক্যাডার। নতুন দায়িত্ব পেয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া – ‘আমি খুব খুশি। নতুন দায়িত্বে নিজের সেরাটা দিতে প্রস্তুত। ‘সবমহলেরই আশা, দেশের সর্বোচ্চ তদন্তকারী, নিরপেক্ষ, স্বশাসিত সংস্থাটি ফের হারানো সুনাম ফিরে পাবে। সংস্থায় ফিরে আসবে কাজের পরিবেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.