সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডের গোড়া থেকেই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ঘিরে ঘুরপাক খাচ্ছে বহু প্রশ্ন। এবার সুপ্রিম কোর্টেও প্রশ্নের মুখে তাঁর ভূমিকা। কাকে বাঁচাতে চাইছেন সন্দীপ ঘোষ? অভিসন্ধিই বা কী? প্রশ্ন তুললেন খোদ বিচারপতি। কেনই বা পদত্যাগের পরই ফের অন্য হাসপাতালে নিয়োগ করা হল তাঁকে? সেই প্রশ্নও তোলে আদালত।
আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পরই তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোসের বিরুদ্ধে ভুরিভুরি অভিযোগ তোলেন জুনিয়র চিকিৎসক থেকে শুরু করে হাসপাতালের সঙ্গে জড়িত সকলেই। তাঁর বিরুদ্ধে আগে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ নতুন করে মাথাচাড়া দেয়। এদিকে চিকিৎসকের মৃত্যুর পর অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়েও বহু প্রশ্ন ছিল। এর পরই তাঁকে অপসারণের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এক পর্যায়ে কার্যত চাপের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন সন্দীপ ঘোষ। এর ঠিক ৪ ঘণ্টায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করা হয় সন্দীপকে। যা স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে বহু প্রশ্ন তুলে দেয়। এদিন সুপ্রিম কোর্টেও সেই প্রসঙ্গ।
এদিন আদালতের তরফে প্রশ্ন করা হয়, কেন তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর ১৪ ঘণ্টা লাগল এফআইআর করতে? বলা হয়, অধ্যক্ষের উচিত ছিল হাসপাতালে পৌঁছে প্রথমেই এফআইআর করা। কিন্তু তিনি তা করেননি। এরপরই ওঠে পদত্যাগ প্রসঙ্গ। প্রশ্ন তোলা হয়, কেন পদত্যাগের কয়েকঘণ্টার মধ্যেই অন্যত্র পুর্ননিয়োগ করা হল সন্দীপকে। এদিকে এদিন আদালতে পেশ করা রিপোর্টে সন্দীপের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি করেছে সিবিআই। বলা হয়েছে, হাসপাতালে ১৪ লক্ষ টাকার সিসিটিভি লাগানোর কথা ছিল। কিন্তু অধ্যক্ষ তা করেননি। ফলে এবার সিসিটিভিতেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে তাঁর বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্টের আগে হাই কোর্টেও ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.