আর জি কর মামলায় আজ ফের সুপ্রিম শুনানি। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে শুরু সওয়াল-জবাব। সুপ্রিম দরবারে আজ মুখোমুখি ইন্দিরা জয়সিং ও কপিল সিব্বল। রাজ্যের তরফের আইনজীবী সিব্বল। এদিকে আজ গীতা লুথরার বদলে জুনিয়র চিকিৎসকদের হয়ে লড়াইয়ে ইন্দিরা জয়সিং। এদিন আদালতের প্রশ্নের মুখে কী জানাবে রাজ্য-সিবিআই? কী নির্দেশ দেবে শীর্ষ আদালত? সেদিকেই নজর গোটা দেশের। সুপ্রিম শুনানির প্রতি মুহূর্তের আপডেট পেতে নজর রাখুন সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালে।
দুপুর ২.৪৫: বিকেল ৪ টেয় জিবি বৈঠক। সেখানেই কর্মবিরতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
দুপুর ১.১৮: আজকের মতো শুনানি শেষ। উঠে গেলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র।
দুপুর: ১.১০: আদালতে মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগের দাবি আইনজীবীর। ‘আদালত রাজনৈতিক মঞ্চ নয়, আপনাকে বের করে দেব’, ধমক প্রধান বিচারপতির।
দুপুর ১.০১: নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফিরতে আপত্তি নেই। জানালেন তাঁদের আইনজীবী। এর পাশাপাশি আজ অথবা আগামিকাল জুনিয়র ডাক্তাররা জিবি মিটিং করবেন বলেও জানান তিনি।
দুপুর ১২.৫৩: নিরাপত্তার স্বার্থে মনিটরিং কমিটি তৈরির নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি। প্রতিটি হাসপাতালের নিরাপত্তা, কোনও রকম হেনস্তার ঘটনা ঘটছে কি না, খতিয়ে দেখবে এই কমিটি।
দুপুর ১২.৫০: নিরাপত্তাহীনতাই কাজে না ফেরার কারণ, আদালতে জানালেন জুনিয়র ডাক্তারদের আইজীবী। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকের কথাও তুলে ধরলেন তিনি।
দুপুর ১২.৪৮: ফের রাত্তিরের সাথী নিয়ে রাজ্যকে নিশানা করলেন প্রধান বিচারপতি। রাতে কাজ না বা কাজের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া মহিলা চিকিৎসকদের কেরিয়ারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। মহিলাদের আলাদা করে দেওয়া বা পুরুষদের সঙ্গে ভেদাভেদ ঠিক নয়, মন্তব্য প্রধান বিচারপতির। জবাবে সিব্বল জানালেন, বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করা হবে।
দুপুর ১২.৪৫: নিরাপত্তার স্বার্থে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল, সিনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে জেলাশাসককে কথা বলার নির্দেশ। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত হাসপাতালে সিসিটিভি বসাতেই হবে, সময়সীমা বেঁধে দিলেন প্রধান বিচারপতি।
দুপুর ১২.৪০: কথা হচ্ছে ১৮ থেকে ২৩ বছরের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে। সকলে আতঙ্কিত। যে কারও সঙ্গে এই ঘটনা ঘটতে পারে। মহিলাদের রেস্টরুমে কেন বায়োমেট্রিক নেই? স্বাস্থ্যসচিবের কাছে প্রশ্ন বিচারপতির।
দুপুর ১২.৩৮: সিব্বলকে আদালতের প্রশ্ন, ৪১৭ টি সিসিটিভি বসানোর কথা। তবে এখনও পর্যন্ত বসেছে মাত্র ৩৭ টি। জবাবে সিব্বল জানালেন অতিদ্রুত কাজ হবে।
দুপুর ১২.৩১: নিরাপত্তার কাজে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন আদালতের। ৭ দিনের ট্রেনিংয়ে কাউকে নিয়োগ করা হলে নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত হবে? প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, কীভাবে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের উপর ভরসা করে সরকার চলতে পারে? জেলাশাসক-সহ পুলিশ প্রশাসনকে হাসপাতালের নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখতে পদক্ষেপ করতে হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সিব্বলকে নির্দেশ ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়ের।
দুপুর ১২.১২: জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের প্রসঙ্গ তুললেন কপিল সিব্বল। মিনিটসের কথা উল্লেখ করে সিব্বলের প্রশ্ন, জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে না ফিরলে কী করব? প্রধান বিচারপতি বললেন, আমরা শেষ শুনানিতে নির্দেশ দিয়েছিলাম পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে। সে বিষয়ে রাজ্য কী পদক্ষেপ করেছে তা জানতে চাইলেন তিনি। রাজ্যের তরফে পদক্ষেপ করা হয়েছে। তার কপি জমা দেওয়া হয়েছে। জানালেন সিব্বল। তিনি বলেন, হাসপাতালে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য রেস্ট রুম তৈরি হচ্ছে। ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে। একই সময়ের মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরাও বসানো হবে একাধিক। সম্পূর্ণ হবে অতিরিক্ত শৌচাগারের কাজও।
দুপুর ১২.১০: রাজ্যের তরফে বলা হয়, মহিলা চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে ডিউটি ১২ ঘণ্টার বেশি না করা ও রাজ্যের নিয়ম মেনে রাতে ডিউটি না দেওয়ার কথা। পালটা বিচারপতি বললেন, কী করে বলছেন যে মহিলারা রাতে কাজ করবেন না? মহিলারা কাজ করতে প্রস্তুত, তাঁদের কোনও ছাড় প্রয়োজন নেই। এর পরই সিব্বলকে প্রধান বিচারপতি বললেন, ছাড় নয়, মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। রাত্তিরের সাথী প্রকল্পের বিজ্ঞপ্তি আংশিক মুছে ফেলার নির্দেশ আদালতের।
দুপুর ১২.০৫: ডাক্তারদের তরফে ইন্দিরা জয়সিং বলেন, ১৫১৪ সিভিক ভলান্টিয়ারকে সরিয়ে রাজ্য পুলিশকে নিয়োগ করার আর্জি রইল। জুনিয়র ডাক্তাররা যে আতঙ্কিত ফের তা আদালতে বলেন তিনি।
দুপুর ১২.০১: জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে আইনজীবী করুণা নন্দী বলেন, রাজ্য বলছে তাঁদের কর্মবিরতিতে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। এদিকে ওভারটাইম করতে হচ্ছে সিনিয়রদের। পালটা প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, সব কি স্বাভাবিক? তাতে করুণা নন্দী বললেন, জুনিয়রদের ঘাটতি পূরণে কাজ করছেন সিনিয়ররা। আন্দোলনকারীদের আমজনতার কাছে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করলেন তিনি। বিভিন্ন হাসপাতালে নিরাপত্তার খাতিরে যে ১৫১৪ জনকে নিযুক্ত করা হয়েছে তা নিয়ে আপত্তি প্রকাশ করলেন আইনজীবী।
সকাল ১১.৫৭: বিচারপতি বললেন, উইকিপিডিয়ায় নির্যাতিতার যে ছবি রয়েছে তা আর্টিস্টিক গ্রাফিক। এ নিয়ে সলিসিটর জেনারেল বললন, মৃতার নির্দিষ্ট হেয়ারস্টাইল রয়েছে। অবিলম্বে উইকিকে ছবি ও নির্যাতিতার নাম সরানোর নির্দেশ আদালতের।
সকাল ১১.৫০: প্রকাশ্যে আনা যাবে না তদন্তের গতিপ্রকৃতি। তবে নির্যাতিতার বাবা-মাকে এবিষয়ে তথ্য দেবে সিবিআই, নির্দেশ আদালতের।
সকাল ১১.৪৮: নির্যাতিতার বাবার চিঠি ও রেসিডেন্ট ডাক্তারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত হবে। কিন্তু এখনই তা প্রকাশ্যে আনা যাবে না। বলল আদালত।
সকাল ১১.৪৭: সিব্বলকে বিচারপতির প্রশ্ন, কতগুলো পেনড্রাইভ সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান ৪ টি ক্যামেরার যাবতীয় ফুটেজ থাকে এক জায়গায়তেই। তা তুলে দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে।
সকাল ১১.৪৩: সিবিআইয়ের আইনজীবী জানালেন, পুলিশ তথ্যপ্রমাণ দেওয়ার সময় কোনও চালান দেয়নি। আদালতের তরফে সিব্বলকে প্রশ্ন করা হয় সমস্ত ফুটেজ সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে কি না। তাঁর দাবি, দেওয়া হয়েছে। পেনড্রাইভ, হার্ডডিস্ক দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন। পালটা তুষার মেহতা জানান, পেনড্রাইভ যত ক্যাপাসিটিরই হোক না কেন, তাতে ফুটেজ মিলেছে মাত্র ২৭ মিনিটের।
সকাল ১১.৩৭: সিবিআই রিপোর্টে যা দিয়েছে, তা খুবই উদ্বেগের বলে মন্তব্য করলেন প্রধান বিচারপতি।
সকাল ১১.৩৬: কলকাতা পুলিশকে সিবিআইকে সহযোগিতার নির্দেশ আদালতের। উত্তরে সিব্বল বললেন, ৭-৮ ঘণ্টার ভিডিও ফুটেজ দেওয়া হয়েছে। সিবিআইয়ের আইনজীবীর দাবি, মাত্র ২৭ মিনিটের ফুটেজ দেওয়া হয়েছে।
সকাল ১১.৩৫: সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, উইকিপিডিয়ায় নির্যাতিতার নাম ও ছবি রয়ে গিয়েছে। আদালত বলল, আমরা নির্দেশ দেব দ্রুত এসব তথ্য সরিয়ে ফেলার। সিবিআইয়ের আইনজীবী মেহতা জানান, “আমরা উইকিপিডিয়াকে ছবি ও নাম সরাতে বলেছিলাম। ওরা রাজি হয়নি।” চন্দ্রচূড় বললেন, “ঠিক আছে আমরা বিষয়টা দেখছি।”
সকাল ১১.৩৪: বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বললেন, যেভাবে তদন্ত হয়েছে তাতে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের উদ্বেগ যুক্তিসংগত। এমনিতেই পাঁচ দিন দেরি হওয়ায় সিবিআই কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। আমরা নির্যাতিতার বাবার চিঠি প্রকাশ্যে আনব না। তাতে অনেক তদন্ত সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে।
সকাল ১১.৩০: সিবিআই রিপোর্টে ‘খুশি’ সুপ্রিম কোর্ট। সিবিআই রিপোর্টে আদালতের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে, জানালেন বিচারপতি। সিবিআই তদন্ত করছে, ওরা তো ঘুমোচ্ছে না। সত্য সামনে আনতে তাঁদের পর্যান্ত সময় দিতে হবে। তদন্তের স্বার্থে এখনই সবকিছু প্রকাশ্যে আনা যাবে না। রিপোর্ট সামনে এলে তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাতে ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং বললেন, অকুস্থলে অনেক ব্যক্তি মজুত ছিলেন। আমরা আদালতে প্রকাশ্যে নাম বলব না। তবে সিবিআইয়ের কাছে সিল করা খামে সেই নাম জমা দিতে প্রস্তুত।
সকাল ১১.২০: সিবিআইয়ের জমা দেওয়া রিপোর্ট পড়ে দেখছেন প্রধান বিচারপতি। চার্জশিট জমা দিতে কতদিন লাগবে? প্রশ্ন আদালতের। চার্জশিট পেশের পর ৬০ দিন পেরিয়েছে কি না সেই প্রশ্নও করলেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
সকাল ১১.১৮: লাইভ স্ট্রিমিং হবেই। নিরাপত্তার বিষয়টি আদালত খতিয়ে দেখবে বলে জানালেন প্রধান বিচারপতি।
সকাল ১১.০৪: লাইভ বন্ধের যুক্তি হিসেবে রাজ্যের আইনজীবীদের উপর অ্যাসিড হামলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও জানালেন সিব্বল। এদিকে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই।
সকাল ১১.০৩: সংবেদনশীল মামলা, এই যুক্তিতে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে বাধা রাজ্যের আইনজীবীর। কপিল সিব্বলের আর্জি খারিজ করে দিলেন প্রধান বিচারপতি। তিনি জানালেন, প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানালেন, এটি জনস্বার্থ মামলা। তাই লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ হবে না।
সকাল ১০.৩০: শুরু হল সুপ্রিম শুনানি। নির্দেশ মতো আজ মুখ বন্ধ খামে তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই। কী থাকবে তাতে? তা নিয়ে চলছে চর্চা।
সকাল ১০.২০: আর মাত্র কিছুক্ষণের অপেক্ষা। সাড়ে দশটায় শুরু হবে শুনানি। তার আগে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে জড়ো হচ্ছেন আইনজীবীরা।
সকাল ১০.০১: আর জি করে ধর্ষণ-খুন মামলার তদন্ত কতদূর এগোল? আজ, মঙ্গলবার তা নিয়ে ফের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এই শুনানি হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.