সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নানা টালবাহানার পর জরুরি পরিষেবা দিতে শুরু করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তবে আর জি কর মামলার শুনানিতে একথা শুনে কার্যত বিরক্ত প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। সরকারি হাসপাতালে বহির্বিভাগ-সহ সমস্ত ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে হবে বলে সাফ জানিয়েও দেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এই মন্তব্যের পরই বৈঠকে বসলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আলোচনার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন তাঁরা।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে সম্প্রতি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক নিগ্রহের প্রসঙ্গ ওঠে। রাজ্যের আইনজীবী দাবি করেন, বিনা চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে সেখানে। তবে সেই দাবি উড়িয়ে দেন জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং। প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “জুনিয়র ডাক্তাররা জরুরি পরিষেবা দিতে শুরু করেছেন।” প্রধান বিচারপতি এর পর প্রশ্ন করেন, “চিকিৎসকরা কি ওপিডি (আউট পেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট) এবং আইপিডিতে (ইন পেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট) যোগ দিয়েছেন?” আইনজীবী জয়সিং ফের উত্তর দেন, আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা জরুরি পরিষেবায় যোগ দিয়েছেন। ফের প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট করে বলেন, “আমি ওপিডি এবং আইপিডি সার্ভিসের কথা বলছি।” এর পর প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, ডাক্তারদের ওপিডি এবং আইপিডি সার্ভিসে যোগ দিতেই হবে।
প্রধান বিচারপতির মন্তব্য শোনার পরই আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের তরফ থেকে অনিকেত মাহাতো সাফ জানান, সুপ্রিম শুনানির প্রতিলিপি হাতে আসার পরই হবে বৈঠক। আর ওই বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা। তবে এখনও পর্যন্ত হাসপাতালগুলির পরিকাঠামোগত উন্নয়ন সম্পর্কিত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হল না, সে প্রশ্নও তোলেন অনিকেত। যদিও সুপ্রিম কোর্টেও এদিন সিসিটিভি এবং শৌচালয়-সহ হাসপাতালগুলির পরিকাঠামোগত উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা হয়। চূড়ান্ত ডেডলাইনও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, সাগর দত্ত মেডিক্যালে হামলার ঘটনায় যুক্তদের বিরুদ্ধে রাজ্যের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলেও জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.