ফাইল ছবি।
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ফুঁসছে বাংলা। ফুঁসছে বিশ্ব। রবিরাতে কার্যত দ্রোহের ক্যানভাস হয়ে ওঠে কলকাতার রাজপথ। বিচারের জোর দাবি আট থেকে আশির গলায়। একমাস কেটে গেলেও কেন সুবিচার পেলেন না নির্যাতিতা? সিবিআইয়ের তদন্ত কতদূর? রাঘব বোয়ালদের আড়াল করছে কারা? উঠছে প্রশ্ন । বিচারের দাবিতে এহেন জনগর্জনের মাঝেই সুপ্রিম কোর্টে শুরু হল আর জি কর মামলার শুনানি। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চে মামলা। তাকিয়ে গোটা দেশ। কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবেন চিকিৎসকরা? তদন্তকারীদেরই বা কী বার্তা দেবে শীর্ষ আদালত? আজ কি মিলবে উত্তর? রইল প্রতি মুহূর্তের লাইভ আপডেট।
দুপুর ১.০২: আর জি কর মামলার শুনানি আজকের মতো শেষ। বেরিয়ে গেলেন বিচারপতিরা।
দুপুর ১২.৫৮: কপিল সিব্বলের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে ফিরলে তাঁদের বিরুদ্ধে রাজ্য কোনও ব্যবস্থা নেবে না, এমনকী বদলিও করবে না, তা নিশ্চিত করতে হবে।
দুপুর ১২.৫৩: জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে বেঁধে দেওয়া হল সময়সীমাও। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের কড়া নির্দেশ, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে হাসপাতালে কাজে ফিরতে হবে। পাশাপাশি তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারকে।
দুপুর ১২.৪৫: এর পরই চিকিৎসকদের কাজে ফেরার নির্দেশে কড়া অবস্থান নিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি সাফ জানালেন, জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি এবার বন্ধ হোক। অন্যথায় তাঁদের বিরুদ্ধে রাজ্য় সরকার কোনও পদক্ষেপ করলে শীর্ষ আদালত আটকাবে না।
দুপুর ১২.৪২: আর জি করের সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির।
দুপুর ১২.৪০: কপিল সিব্বল সওয়াল করেন, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে প্রায় ৬ লক্ষ রোগী বিপদে। হাজার রোগীর অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি আটকে রয়েছে। এবার তাঁদের কাজে ফেরাতে রাজ্য পদক্ষেপ নিতে চায়। শীর্ষ আদালতের কাছে সেই অনুমতি চান সিব্বল।
দুপুর ১২.৩৭: সোশাল মিডিয়ায় কীভাবে নির্যাতিতার ছবি ভাইরাল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতিরা। আইনজীবী গীতা লুথরার বক্তব্য, ভিতর থেকেই কেউ তা ছড়িয়েছে। সম্ভবত তার মধ্যে দুষ্কৃতী নিজেও রয়েছে। এভাবে নির্যাতিতার ছবি ছড়িয়ে পড়া একেবারেই উচিত হয়নি। এছাড়া তিনি জুনিয়র চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়েও সওয়াল করেন। বলেন, শুধু কলকাতা নয়, বিভিন্ন জেলা হাসপাতালেও জুনিয়র ডাক্তাররা হুমকির মুখে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না হলে তাঁরা কাজ করতে পারছেন না।
দুপুর ১২.৩৫: ফিরোজ এডুলজির বক্তব্য, “বলা হচ্ছে, মৃতার পা ৯০ ডিগ্রি কোণে ছিল। হাঁটু ভাঙা না হলে এটা সম্ভব নয়।” ঘটনার এক মাস পরেও মৃত্যুর সময় কেন জানা গেল না, তা নিয়েও প্রশ্ন আইনজীবীর। এডুলজি আরও জানান, ঘটনার পর হাসপাতালের শৌচালয়ের সব টাইলস বদলে ফেরা হয়েছে। ফলে অভিযুক্তের লুমিনেল পরীক্ষা করানো হলেও কিছু পাওয়া যাবে না।
দুপুর ১২.২০: চালান নিয়ে টানাপোড়েনে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা। পুলিশের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, এটা যদি না পাওয়া যায়, তাহলে কেন এমনটা হল, তার ব্যাখ্য়া দিতে হবে। প্রধান বিচারপতি বললেন, এই চালান না পেলে বুঝতে হবে, কোনও ধোঁয়াশা আছে।
দুপুর ১২.০৮: সিব্বলের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তরের সময় ময়নাতদন্তের চালান দেখতে চান প্রধান বিচারপতি। সেখানে কার কার সই আছে, জানতে চান। সিব্বল জানান, এই মুহূর্তে তাঁর কাছে চালানের কপি নেই। তখন সিবিআই-কে তা দিতে বলেন প্রধান বিচারপতি। তাতে সলিসিটর জেনারেল দাবি করেন, যে নথিপত্র দেওয়া হয়েছিল সিবিআই-কে, তাতে চালান ছিল না। এর পর প্রধান বিচারপতি বলেন, ওই চালালেই সাফ লেখা থাকে যে দেহের সঙ্গে কী কী সামগ্রী থাকে। চালান ছাড়া ময়নাতদন্ত হয় কী করে?
দুপুর ১২.০৬: নির্যাতিতার গোপনাঙ্গ থেকে সংগৃহীত নমুনা ঠিকমতো সংরক্ষণ করা হয়নি। তা ৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে রাখার কথা ছিল, তা হয়নি বলে দাবি আইনজীবীর। তাতে প্রমাণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় সিবিআই ফের পরীক্ষা করাতে চায়। শীর্ষ আদালতে জানালেন আইনজীবী।
দুপুর ১২: ময়নাতদন্ত কি সঠিকভাবে হয়েছে? প্রশ্ন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির। সিবিআইয়ের তরফেও জানানো হয়, ময়নাতদন্ত কখন করা হয়েছে, সেই সময়ের উল্লেখ নেই। যদিও রাজ্যের আইনজীবীর যুক্তি, সব কিছু উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। সেই সংশয়ের প্রেক্ষিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সন্দেহ হলে তাঁর কাছে রিপোর্ট চাওয়া হোক।
বেলা ১১.৫০: ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আইনজীবী। কারা করেছে ভিডিওগ্রাফি? কোনও প্রমাণ আছে? কখন ময়নাতদন্ত করা হয়, তা নিয়েও সংশয়। তুষার মেহতার বক্তব্য, দুপুর ২.৩০ থেকে রাত ১১.৩০টা পর্যন্ত ১০টি জিডি রয়েছে। তাহলে একটি কি ভুয়ো? নাকি পরে তা তৈরি করা হয়েছে?
বেলা ১১.৪৮: তিন কোম্পানি জওয়ান হাসপাতালে মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু বাকিদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়নি। সওয়াল তুষার মেহতার। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, সোমবারই রাত ৯টার মধ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সিআইএসএফ-কে দেবে রাজ্য।
বেলা ১১.৪৬: হাসপাতালে চিকিৎসকদের সুরক্ষায় যে CISF মোতায়েন করা হয়েছিল, তার পরিস্থিতি জানতে চাইলেন প্রধান বিচারপতি। তুষার মেহতা জানালেন, জওয়ানরা থাকেন ১.৫ কিলোমিটার দূরে। পালটা কপিল সিব্বলের দাবি, বেশিরভাগ হাসপাতালেই রয়েছেন। বাকিরা বাইরে।
বেলা ১১.৪২: আগামী সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর সিবিআইকে ফের তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি বললেন, “খোলা এজলাসে কিছু মন্তব্য করতে চাই না। যাতে তদন্তে প্রভাব পড়ে। আগামী সোমবার তদন্তের আবার স্টেটাস রিপোর্ট দিন।” ১৭ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
বেলা ১১.৩৫: ‘আমাদের কাছে ফরেনসিক রিপোর্ট আছে। সকাল ৯.৩০এ যখন তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়, তাঁকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় পাওয়া যায়। জিনস ও অন্তর্বাস খোলা ছিল। দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল। CFSL-এ পাঠানো হয়েছে।’ বললেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি আরও জানান, ওইসব নমুনা রাজ্যের ল্যাবেই পরীক্ষা করা হয়েছিল। তবে সিবিআই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, AIIMS বা অন্য কোনও CFSL-এ পাঠানো হবে। কে নমুনা সংগ্রহ করেছে, সেটাও তাৎপর্যপূর্ণ।
বেলা ১১.৩২: সিসিটিভি ফুটেজ কি পেয়েছে সিবিআই? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের। আর জি করের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজে অভিযুক্তকে প্রবেশ করতে এবং বার হতে দেখা গিয়েছিল। ফলত, ভোর সাড়ে ৪টে থেকে ফুটেজ থাকার কথা। ওই ফুটেজ কি সিবিআইকে দেওয়া হয়েছিল? জানতে চাইলেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। জবাবে সিবিআইয়ের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, ২৭ মিনিটের মোট চারটি ক্লিপিং দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের সওয়াল, সব ফুটেজ দেওয়া হয়েছে।
বেলা ১১.২৪: সুরতহাল কখন করা হয়েছিল? জানতে চাইলেন প্রধান বিচারপতি। সিব্বল জানালেন, বিকেল ৪টে ১০ নাগাদ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসেন। ৪.২০ থেকে ৪.৪০-এর মধ্যে সুরতহাল করা হয়। ভিডিওগ্রাফিও হয়েছে।
বেলা ১১.২৩: অকুস্থলে কখন তল্লাশি ও বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু হয়? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। সিব্বল জানান, রাত ৮.৩০ থেকে ১০.৪৫-এর মধ্যে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর পর অকুস্থলের ছবি তোলা হয়।
বেলা ১১.২২: মামলা রুজুর সময় নিয়ে দুপক্ষের বিরোধ। সিব্বলের এই তথ্যের বিরোধিতা করে সলিসিটর জেনারেলের দাবি, ”মামলা দায়ের হয়েছে দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ। ৫৬৫ একটি মেডিক্যাল রিপোর্ট মাত্র। রাত সাড়ে ১১টায় জিডি হয়েছে। আমার কাছে কপি আছে।” পালটা সিব্বল বললেন, ”আমার কাছে সার্টিফায়েড কপি আছে।”
বেলা ১১.১৮: কোন জেনারেল ডায়েরির ভিত্তিতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা যুক্ত করা হল? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। সিব্বলের জবাব, জিডি ৫৬৫, যা ২.৫৫-তেই নথিভুক্ত করা হয়।
বেলা ১১.১৬: প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু হয়েছে কখন? সিব্বল জানান, দুপুর ১.৪৭-এ ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর (৮৬১/ ২০২৪)মামলা রুজু হয় ২.৫৫-এ। ওই সময়ে GD-ও হয়েছে।
বেলা ১১.১৩: রাজ্যের স্টেটাস রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। রিপোর্টে কী আছে? কী গোপন করা হচ্ছে? প্রশ্ন তুলে তাঁর দাবি, যে রিপোর্ট শীর্ষ আদালতে জমা দিয়েছে রাজ্য, তা তাঁদের দেখানো হোক।
বেলা ১১.০৯: স্টেটাস রিপোর্ট দিল রাজ্যও। সূত্রের খবর, রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফেও রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট খতিয়ে দেখছেন বিচারপতিরা।
বেলা ১১.০৪: আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতিতে রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। শীর্ষ আদালতে সওয়াল রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলের।
বেলা ১১.০১: ‘হাসপাতাল থেকে অধ্যক্ষের বাড়ির দূরত্ব কত?’, জানতে চাইলেন প্রধান বিচারপতি। জবাবে সলিসিটর জেনারেল জানালেন, বড়জোর ১৫ থেকে ২০ মিনিটের।
সকাল ১০.৫৬: সুপ্রিম কোর্টে শুরু হল আর জি কর মামলার শুনানি। মুখবন্ধ খামে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই।
সকাল ১০.৪৫: শীর্ষ আদালতে পৌঁছলেন বিচারপতিরা। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে শুনানি।
১০.৩৫: সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছলেন আইনজীবীরা। রাজ্যের তরফে রয়েছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল, রয়েছে আইনজীবীদের মোট ৩০ সদস্যের টিম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.