সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের মরশুমেও কমল জিএসটি সংগ্রহ। পণ্য ও পরিষেবা কর থেকে প্রাপ্ত রাজস্বের হার গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় এবার অক্টোবরে প্রায় ৫.৩ শতাংশ কম হয়েছে। ২০১৯-অক্টোবরে জিএসটি আদায় হয়েছে ৯৫,৩৮০ কোটি টাকা। যদিও পরিমাণটা সেপ্টেম্বরের তুলনায় বেশি। তাও সরকারের ধার্য করা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেকটাই কম।
এই মাসে ১ লক্ষ কোটি টাকা জিএসটি বাবদ আয়ের প্রত্যাশা ছিল সরকারের। আদায়ের অঙ্ক সেই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে ব্যর্থ হয়েছে। জিএসটি থেকে প্রাপ্ত মাসিক রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ সেপ্টেম্বরে ৯১হাজার ৯১৬ কোটি টাকা থেকে ৩.৭৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল বলে অর্থমন্ত্রকের তরফে প্রকাশ করা তথ্যে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় জিএসটির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ১৭ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা এবং রাজ্য জিএসটির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ২৩ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। সর্বমোট ৪৬হাজার ৫১৭ টাকা। তারমধ্যে রয়েছে আমদানি থেকে প্রাপ্ত ২১ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা, অর্থমন্ত্রকের তরফে জারি করা প্রেস বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৯ মাসের মধ্যে সেপ্টেম্বরে জিএসটি আদায় ছিল সর্বনিম্ন। আদায় হয়েছিল ৯২ হাজার কোটি টাকা।
এরপরই জিএসটি আদায় বৃদ্ধির বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করে সরকার। সেই কমিটি জিএসটির জন্য চালু থাকা আইন এবং পদ্ধতি খতিয়ে দেখবে। কোনও পরিবর্তন দরকার হলে তার সুপারিশ করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গত বছরের তুলনায় কম রাজস্ব আদায়ের অন্যতম মূল কারণ অর্থনৈতিক মন্দাও। পাশাপাশি, শেয়ার বাজারকে চাঙ্গা করতে জিএসটিতেও রদবদল করতে হয়েছে মোদি সরকারকে। একাধিক দ্রব্যের উপর জিএসটি কমাতে বাধ্য হয়েছে মোদি সরকার। সেকারণেই এই ঘাটতি বলে মনে করা হচ্ছে।জিএসটির এই ঘাটতি অর্থনৈতিকভাবে সরকারের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে। কারণ, এভাবে নিয়মিতভাবে কর আদায় কমতে থাকলে রাজস্ব ঘাটতি বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে, বর্তমান আর্থিক দূরবস্থা সামাল দিতে আরও সমস্যায় পড়তে হতে পারে মোদি সরকারকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.