সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি মায়ানমারে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। ভারতীয় সেনার সেই অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অমৃত সঞ্জেনবামকেই হিংসাধ্বস্ত মণিপুরে শান্তি ফেরানোর ভার তুলে দিল এন বীরেন সিং সরকার। তাঁকে আগামী পাঁচ বছরের মেয়াদের জন্য মণিপুর পুলিশ বিভাগের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট (কমব্যাট) পদে নিযুক্ত করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২১ নম্বর আধাসামরিক বাহিনীর বিশেষ বিভাগে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে অমৃত সঞ্জেনবামের। ২০১৫ সালে মায়ানমারে ভারত যে ধারাবাহিক সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছিল, সেই অভিযানের মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন তিনি। মায়ানমারের সীমান্তবর্তী মণিপুরের (Manipur) মাটি তাই তাঁর কাছে অপরিচিত নয়। বীরত্বের জন্য তিনি কীর্তি চক্র এবং শৌর্য চক্রও পান। শৌর্য চক্র দেওয়ার সময়, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অমৃত সঞ্জেনবামের সম্পর্কে সরকার বলেছিল, ‘সবথেকে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে অত্যন্ত সূক্ষ্ম পরিকল্পনা রচনায়, অনুকরণীয় বীরত্ব প্রদর্শনে এবং সাহসী পদক্ষেপ নিতে পারদর্শী।’
গত ২৮ আগস্ট মণিপুর স্বরাষ্ট্র দফতরের যুগ্ম সচিব একটি আদেশ জারি করে কর্নেল অমৃত সঞ্জেনবামের নিয়োগের কথা ঘোষণা করেন। আদেশে জানানো হয়েছে, ১২ জুন মণিপুর মন্ত্রিসভার এক বৈঠকেই তাঁকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লা থেকে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছিলেন, “মণিপুরে ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে।” তবে, গত সপ্তাহে ফের আগুন জ্বলেছে উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে। গত পাঁচ দিনে, মেইতেই-অধ্যুষিত ইম্ফল উপত্যকা অঞ্চল এবং কুকি-অধ্যুষিত পাহাড়ের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত চার মাস ধরে মেতেই-কুকি জাতিদাঙ্গার আগুনে জ্বলছে উত্তরপূর্বের এই রাজ্য। প্রায় দিনই সে রাজ্য থেকে সংঘর্ষ ও রক্ত ঝরার খবর মিলছে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯২। আহত বহু। উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে চরম দুর্দশায় দিন কাটছে মণিপুরবাসিদের। ফলে মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বারে বারে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনা মুখে পড়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.