সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের নামবদল। এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনীতির সবচেয়ে চর্চিত বিষয়। অথচ সেই নামবদল নিয়ে বিজেপির শীর্ষস্তরের নেতাদের এবং মন্ত্রীদের মুখ খোলার উপায় নেই। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছে, এ নিয়ে সবার মুখ খোলার দরকার নেই। শুধু যারা এ সংক্রান্ত বিবৃতি দেওয়ার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত তাঁরা মন্তব্য করবেন।
সরকারিভাবে এখনও কোনও ঘোষণা না হলেও দেশের নামের ক্ষেত্রে শুধু ‘ভারত’ শব্দটি ব্যবহার করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে সরকার। জি-২০ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতির তরফে আমন্ত্রণপত্রে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ (President of Bharat)। যা নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা। মঙ্গলবারেই রাতেই উদয় হয়েছে ‘নয়া অবতার’ ‘দ্য প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত’। ২০তম ASEAN-ভারত শীর্ষ সম্মেলন এবং ১৮তম EAS শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়ায় যাচ্ছেন মোদি। ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩-এ এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেই সফরের আমন্ত্রণপত্রে ‘প্রাইম মিনিস্টার ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে লেখা হয়েছে ‘প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত’।
দেশের নাম বদল নিয়ে জল্পনা জোরালো হতেই একযোগে তার প্রতিবাদ করছে বিরোধী শিবির। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই বলেছে, এটা আসলে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নামবদলের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, ভারত তো আমরা বলিই। তাহলে নতুন করে নাম বদলের কী আছে। বিরোধীদের কী জবাব দিতে হবে, সেটা নিয়ে বিভ্রান্ত বিজেপির অনেক মুখপাত্রই। সেকারণেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে সব নেতার কথা বলার কোনও প্রয়োজন নেই। যারা বলবেন তাঁদের জন্যও বিশেষ নির্দেশিকা আছে প্রধানমন্ত্রীর। তাঁর বক্তব্য, “ইতিহাস ঘাঁটতে যাবেন না। কিন্তু ভারতীয় সংবিধান অনুসরণ করে বাস্তব অবস্থা তুলে ধরুন। সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলুন।”
এ তো গেল ‘ভারত’ বিতর্ক। আরও একটি ইস্যুতে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। সেটা হল উদয়নিধি স্ট্যালিন্দের সনাতন ধর্ম নিয়ে করা বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে আক্রমণাত্মক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রীদের উদ্দেশে তাঁর নির্দেশ, উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। সব মন্ত্রীদের এ নিয়ে তেড়েফুঁড়ে আসরে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.