Advertisement
Advertisement

Breaking News

জানেন, কেন হঠাৎ ন্যাড়া হলেন এই অষ্টাদশী?

তার এই কাজে অবাক সকলে।

Respect! Kota girl donates hair to make cancer victim smile
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 8, 2017 2:58 pm
  • Updated:August 8, 2017 3:01 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  একটিবার মৃত্যুপথযাত্রী মানুষটির মুখের হাসি শুধু দেখতে চেয়েছিলেন অষ্টাদশী।আর কোনও চাহিদা ছিল না। দ্বাদশ শ্রেণির এই ছাত্রী, কোটার বাসিন্দা জিয়া মেহতা চেয়েছিলেন ক্যানসার আক্রান্ত রোগিণীর পাশে দাঁড়াতে। সেই উদ্দ্যেশ্যেই নিজের লম্বা চুল কেটে ফেলেন জিয়া, এক পলকে। দ্বিধা-দ্বন্দ্বের প্রশ্নই ছিল না।

[ইলিশ বাংলাদেশেরই, ‘জিআই’ ট্যাগ পেল রুপোলি শস্য]

Advertisement

রাজস্থানের কোটার বাসিন্দা জিয়া ইন্টারনেটের মাধ্যমে জানতে পারেন এক ক্যানসার রোগিণীর কথা। ওই মহিলা ভুগছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। কেমোথেরাপি করে মাথার সব চুল ঝরে গিয়েছিল তাঁর। আস্তে আস্তে মানসিক অবসাদের গভীরে চলে যাচ্ছিলেন তিনি। মাথার সব চুল পড়ে যাওয়ায় খুব ভেঙে পড়েছিলেন মুম্বইয়ের ওই বাসিন্দা।

[স্কুলে যোগ বাধ্যতামূলক নয়, জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত]

তাঁর কথা ছুঁয়ে যায় জিয়াকে। তখনই ঠিক করে নেন নিজের সংকল্প। ওই মহিলার মুখে হাসি ফোটাতে নিজের মতো করে প্রস্তুতি শুরু করে দেয়। সাহায্য নেয় ইন্টারনেটের। কীভাবে ওই মহিলাকে সাহায্য করা যায়, তার খোঁজ চালাতে শুরু করে জিয়া। ‘মাদাদ’ নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের খোঁজ মেলে। যারা ক্যানাসার আক্রান্তদের বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে। যে সহায়তার অন্যতম মাধ্যম ক্যানসার রোগীদের নকল চুল দান করা। এটা জানার পরেই আর চুপ করে বসে থাকেননি অষ্টাদশী। নিজের ২৮ ইঞ্চি লম্বা বিনুনি এক মুহূর্তে কেটে ফেলেন জিয়া। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির পরামর্শে নিজের সেই চুল ক্যুরিয়র করে পাঠিয়ে দেয় মুম্বইয়ের ঠিকানায়।

[স্কুলে মোবাইল ফোন ব্যবহারে রাশ টানার ইঙ্গিত শিক্ষামন্ত্রীর]

তবে জিয়া জানাচ্ছে এই সিদ্ধান্ত খুব একটা সহজ ছিল না। মানসিক দৃঢ়তায় এই কাজ করতে পেরেছে সে। এর অনুপ্রেরণা পেয়েছে আমির খানের ‘দঙ্গল’ ছবিটি থেকে। সেখানে তাঁর দুই মেয়েকে চুল কেটে ফেলতে দেখেছিল জিয়া। শুধুমাত্র নিজেদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য। নিজের লক্ষ্যও তো তখন স্থির জিয়ার সামনে।

[বউমার পাশে দাঁড়ালেন শাশুড়ি, বিচ্ছেদের পর বধূকে খোরপোষ দিতে বাধ্য স্বামী]

জিয়া আচমকা ন্যাড়া হতেই চারপাশের মানুষদের প্রতিক্রিয়া বদলে গিয়েছিল। স্কুলে সবাই নাকি হাসাহাসিও করে এই নিয়ে। তবে ঠিক কী কারণে তাকে চুল কেটে ফেলতে হয়েছে, তা জানাতেই সবার মুখাবয়ব বদলে যায় এক লহমায়। প্রশংসার বন্যায় ভাসতে থাকেন জিয়া। খুশির এই মুহূর্তগুলোই জিয়ার কাছে জীবনের প্রাপ্তি। আর অবশ্যই সেই মহিলার মুখের হাসি, যা জিয়ার জীবনকে অন্য মাত্রা দিয়ে গেল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
News Hub