সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল স্তরের মাও সদস্যদের মধ্যে শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে জমতে শুরু করেছে ক্ষোভ৷ নেতাদের বিলাসবহুল জীবনযাপন কর্মীদের মধ্যে বাড়িয়ে তুলছে হতাশা৷ সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে সিআরপিএফ৷ তারা জানিয়েছে, জেরায় এমনই স্বীকারোক্তি দিয়েছে খোদ ধৃত মাও সদস্যরাই৷ তারা জানিয়েছে যে, মাওবাদীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন শীর্ষস্তরের নেতারা৷ ফলে যোগাযোগ ছিন্ন হয়েছে দুই স্তরের মধ্যে৷
[বহাল বিশেষ আদালতের রায়, সোহরাবুদ্দিন মামলায় স্বস্তিতে ডিজি বানজারা]
প্রকাশিত সিআরপিএফ রিপোর্ট বলছে, শীর্ষ নেতাদের বিলাসবহুল জীবনযাত্রা দেখে তৃণমূল স্তরের মাও-কর্মীরা প্রচণ্ড বিরক্ত৷ মন থেকে প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে কাজ করার আর সেই উত্তেজনা পাচ্ছে না তারা৷ ফলে অনেকেই হয় সংগঠন ছাড়ছে বা নিষ্ক্রিয় থাকছে। নতুবা প্রশাসনের সামনে আত্মসমর্পণ করছে৷ জানা গিয়েছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত সমগ্র দেশে আত্মসমর্পণ করেছে প্রায় ৩৫৯ জন মাও সদস্য৷ যারা ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র ও অন্ধ্রপ্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করত৷ এদের প্রত্যেকেই জানিয়েছে যে, তারা আর সংগঠনে ফিরে যেতে চায় না৷ কারণ, আত্মসমর্পণের পর সরকার থেকে তাদের কাজের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে এবং অনেক বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে৷
[বনধ করেও দেশের ‘বিকাশ’ বন্ধ করা যাবে না, কংগ্রেসকে তোপ বিজেপির]
সূত্রের খবর, দীর্ঘ কয়েক বছরে মাওবাদীদের মধ্যে মাত্রাতিরিক্তভাবে কমতে শুরু করেছে যুব সদস্যের সংখ্যা৷ জোগান মিলছে না আগ্নেয়াস্ত্রের৷ যা নিয়ে শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কোনও হেলদোল নেই বলেও জানিয়েছেন আত্মসমর্পণ করা প্রাক্তন মাও সদস্যরা৷ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে মাওবাদী সংগঠনের হয়ে কাজ করেছেন জামপান্না ও পাহাড় সিং৷ তবে সম্প্রতি আত্মসমর্পণ করেন এই দুই মাও নেতা৷ এঁদের মতো শীর্ষ নেতৃত্বের আত্মসমর্পণও নিচু তলার কর্মীদের মনোবল ভেঙে দিয়েছে বলে মনে কার হচ্ছে৷ ফলে মোটের উপর মাও আন্দোলন যে ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে এগোচ্ছে তা স্বীকার করে নিচ্ছেন মাও সদস্যরাই৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.