সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলওয়ামার জঙ্গি হামলায় শহিদ জওয়ানদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে গোটা দেশ। সরকারের পাশাপাশি আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে সাধারণ মানুষও। পরিস্থিতি দেখে অনুদান সংগ্রহের জন্য অনলাইন পরিবেষা প্রদানকারী সংস্থাগুলি স্পেশাল সেকশনও রেখেছে তাদের ওয়েবসাইটে। এর মাঝেই শহিদদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে সবচেয়ে বড় আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন রাজস্থানের কোটার এক গবেষক। ৪৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম মুর্তাজা এ হামিদ। শহিদ সিআরপিএফ জওয়ানদের পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিলে ১১০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন তিনি।
জন্ম থেকেই দৃষ্টিহীন হামিদ কোটার গর্ভনমেন্ট কমার্স কলেজ থেকে স্নাতক করার পর মুম্বইয়ে চলে আসেন। তারপর থেকে মুম্বইয়ে গবেষকের কাজ করছিলেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে ইমেল করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখার আবেদন করেন তিনি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ন্যাশনাল রিলিফ ফান্ডে ১১০ কোটি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানান। এপ্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “এই দেশের প্রতিটি নাগরিকের রক্তে আমাদের মাতৃভূমি রক্ষার কাজে শহিদ হওয়া জওয়ানদের সাহায্য করার ইচ্ছা আছে। সেখান থেকেই আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি।” পাশাপাশি একথাও জানান যে সরকার যদি তাঁর বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারকে স্বীকৃতি দিয়ে কাজে লাগায়, তাহলে পুলওয়ামার মতো দুঃখজনক হামলার ঘটনাকেও আটকানো সম্ভব হবে। তাঁর আবিষ্কৃত ‘ফুয়েল বার্ন রেডিয়েশন টেকনোলজি’ ব্যবহার করে জিপিএস ও ক্যামেরা ছাড়াই যে কোনও গাড়িকে খুঁজে পাওয়া যাবে বলেও দাবি করেন।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় সিআরপিএফ কনভয়ের উপর আত্মঘাতী হামলা চালায় জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিরা। এর ফলে শহিদ হন ৪৯ জন জওয়ান। এর বদলা হিসেবে ২৬ তারিখ ভোররাতে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোটে থাকা জঙ্গি ট্রেনিং ক্য়াম্পে এয়ার স্ট্রাইক করে ভারতীয় বায়ুসেনা। পাশাপাশি রাষ্ট্রসংঘের কাছে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করার জন্য আবেদন জানায় ভারত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.