Advertisement
Advertisement
Economic Inequality

দেশে ব্যাপক হারে বাড়ছে আর্থিক বৈষম্য, প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের

১৫ শতাংশ নাগরিকের মাসিক আয় ৫ হাজার টাকারও কম।

Report of Economic Inequality by Economic Advisory Council | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:May 20, 2022 8:41 pm
  • Updated:May 20, 2022 8:41 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে আয়ের বৈষম্য (Income Inequality) ঊর্ধ্বমুখী। খোদ প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ (Economic Advisory Council) এই রিপোর্ট দিল প্রধানমন্ত্রীকে। অবিলম্বে দেশের নাগরিকদের আর্থিক সমৃদ্ধি তথা অগ্রগতীর বিষয়ে নজর দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। একদিকে যখন এক শতাংশ ধনীর আয় বেড়েই চলেছে, অন্যদিকে গরিব আরও গরিব হচ্ছে বলে পরিসংখ্যান দিয়ে রিপোর্টে জানানো হয়েছে।

আর্থিক উপদেষ্টা কমিটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, সাধারণ নাগরিকের সামগ্রিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। যেমন, পানীয় জলের ব্যবস্থা, শৌচালয়ের বন্দোবস্ত করতে পেরেছে অতীতের তুলনায় অনেক বেশি পরিবার। কিন্তু পাশাপাশি আয়ের সমতা ফেরানো, দারিদ্র কমানো এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে জরুরি পদক্ষেপ করা দরকার বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মোট আয়ের ৫ থেকে ৭ শতাংশই রয়েছে ১ শতাংশ ধনীর হাতে। অন্যদিকে ১৫ শতাংশ নাগরিকের মাসিক আয় মাত্র ৫ হাজার টাকারও কম। অন্যদিকে যাদের মাসিক গড় আয় ২৫ হাজার টাকা তারাই এখন আয়ের নিরিখে প্রথম ১০ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। যা দেশবাসীর সম্মিলিত আয়ের ৩০-৩৫ শতাংশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘যারা কষ্ট দিয়েছে, তাদের ক্ষমা করে দিলাম’, সাড়ে ৬ বছর পর জেলমুক্ত হয়ে বললেন ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়]

সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল, আয়ের নিরিখে তালিকায় নীচের দিকে থাকা ১০ শতাংশ মানুষের আয় আরও কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে তালিকায় সবচেয়ে উপরে থাকা ১ শতাংশ ধনীর আর্থিক অবস্থা ফুলেফেঁপে উঠছে। এইসঙ্গে আর্বান এলাকার পরিবারগুলি ও গ্রামীণ এলাকার পরিবারগুলির মধ্যে আর্থিক বৈষম্য বাড়ছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে গ্রামের অবস্থা ক্রমশ করুণ হচ্ছে। যদিও গ্রামগুলিতেই রয়েছে জনসংখ্যার সিংহভাগ।

[আরও পড়ুন: ‘ভাষা নিয়ে সংঘাত তৈরির চেষ্টা, নাগরিকদের সতর্ক করুন’, বিজেপি কর্মীদের বার্তা মোদির]

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে বিশ্ব ব্যাংক (World Bank) তাদের আর্থিক সমীক্ষার পর জানিয়েছিল, ভারতে দারিদ্র কমলেও যে হারে কমার কথা তা হয়নি। ওই সময় তারা আরও জানিয়েছিল, ২০০৪ থেকে ২০১১ সালের সময়কালে যে হারে দেশে গরিবের সংখ্যা কমেছিল, ২০১১ থেকে ২০১৯-এ সেই হারে কমেনি। গত কয়েক সপ্তাহে দেশে লাগাম ছাড়া মূল্যবৃদ্ধি, জ্বালানির দাম বেড়েই চলা, শেয়ার বাজারে ধস, টাকার দাম পড়ে যাওয়ার পর এই রিপোর্ট যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement