সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে গত আগস্ট মাসে জ্বলে ওঠে বেঙ্গালুরু (Bengaluru)। ধর্মের নামে এক রাতে ছারখার হয়ে গিয়েছিল ভারতের তথ্যপ্রযুক্তির অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুর একাধিক এলাকা। যথারীতি তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে বেরিয়ে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনার নেপথ্যে মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’র হাত থাকার অভিযোগ জোড়াল হয়। এহেন পরিস্থিতিতে সরকারের ‘ফ্যাক্ট ফাইনডিং’ কমিটি নিজের রিপোর্টে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের কথ উড়িয়ে দিয়েছে।
“There is a lack of substantial evidence to suggest that
the mob violence was communal in nature, in that it specifically targeted Hindu community or that it was premeditated & pre-planned,” says the report on violence in DJ Halli & KG Halli areas of Bengaluru. https://t.co/X7o52sA1u3— ANI (@ANI) September 18, 2020
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, কর্ণাটক সরকারের তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরু হিংসায় হিন্দুদের নিশানা করার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই ঘটনা যে সাম্প্রদায়িক তেমনটা মনে করার কোনও উপযুক্ত কারণ নেই। পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই হিংসা ছড়ানো হয়েছে বলে যে ভিযোগ উঠেছে তার সমর্থনেও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সাম্প্রদায়িক হিংসার প্রমাণ পাওয়া না গেলেও ডিজে হাল্লি ও কেজি হাল্লি এলাকায় অর্থ-সামাজিক সমীক্ষা চালিয়ে ক্ষতির খতিয়ান নেওয়া উচিত। তবে অনেকেই অভিযোগ করছেন এই রিপোর্টে খুঁত রয়েছে। বেঙ্গালুরুতে হিন্দুদের টার্গেট করা হয়েছিল। হিন্দু মন্দির রক্ষায় মুসলমানদের মানববন্ধন
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসে কংগ্রেস বিধায়ক শ্রীনিবাস মূর্তির ভাইপোর সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত পোস্ট ঘিরে রণক্ষেত্র বেঙ্গালুরু। বিধায়কের বাড়ি এবং থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়ে গুলি চালায় পুলিশ। তাতেই মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। গ্রেপ্তার করা হয় শতাধিক অভিযুক্তকে। শহরজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এদিকে, বেঙ্গালুরু হিংসায় গ্রেপ্তার অনেকেই PFI’র রাজনৈতিক শাখা ‘সোশ্যাল ডেমক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া’র (SDPI) সদস্য। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতে ফের সংগঠন দু’টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে কর্ণাটক সরকার। এই মর্মে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছে তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেঙ্গালুরু হিংসার এক তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, ধৃতরা সকলেই দলের নেতা। তারা চাইলে এই হিংসাত্মক ঘটনা আটকাতে পারত। কিন্তু তা না করে, বিভিন্ন গ্রুপে মেসেজ চলাচালি ও ফোন করে ভিড় জুটিয়ে হামলায় ইন্ধন জুগিয়েছে তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.