১৯২৫ সালের ৭ আগস্ট জন্ম স্বামীনাথনের। দীর্ঘদিন কৃষি গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। মূলত মিশ্র চাষ, চাষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার, ফসলে শংকর প্রজাতির ব্যবহার নিয়ে বিস্তৃত গবেষণা করেছেন তিনি। ধানের নতুন নতুন প্রজাতি আবিষ্কারের জন্য গোটা বিশ্বে স্বীকৃত স্বামীনাথন। ছয়ের দশকে যে সবুজ বিপ্লব ভারতীয় কৃষি ব্যবস্থা তথা সার্বিকভাবে ভারতের অর্থনীতিকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়েছিল, সেটিও মূলত তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত। স্বামীনাথনকেই ভারতের সবুজ বিপ্লবের জনক বলা হয়।
দীর্ঘ কর্মজীবনে একাধিক গবেষণা সংস্থার এবং সরকারি পদে আসীন ছিলেন স্বামীনাথন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত ভারতের কৃষি ও সেচমন্ত্রকের প্রধান সচিব ছিলেন। তিনি আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা সংস্থার ডিরেক্টর হিসাবেও দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন যোজনা কমিশনের সঙ্গেও।
কৃষি গবেষণায় অবদানের জন্য বহু সম্মানও পেয়েছেন। ভারত সরকার তাঁকে তিনবার পদ্ম সম্মান পেয়েছেন। ১৯৮৭ সালে প্রথম বার বিশ্ব খাদ্য পুরস্কারও তাঁকেই দেওয়া হয়। ১৯৭১ সালে তিনি পান রামন ম্যাগসাইসাই সম্মান। ১৯৮৬ সালে তাঁকে দেওয়া হয় আইনস্টাইন বিশ্ব বিজ্ঞান পুরস্কার। তাঁর প্রয়াণে কৃষি বিজ্ঞান গবেষণা ক্ষেত্রে বিরাট শূন্যতা তৈরি হল।
২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।
চোখ রাখুন