সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন পনেরো আগেই পাকিস্তানকে ঘুরিয়ে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রের তকমা দিয়েছিল মার্কিন সেনেট। এবার তারই রেশ উঠে এল ভারতীয় লেখক চেতন ভগতের টুইটে।
মার্কিন আইনসভায় পাক সরকারের তীব্র সমালোচনা করে একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস হয়৷ তাতে পরিষ্কার বলা হয়েছিল, সন্ত্রাসবাদী তকমা পাওয়া এবং রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা সব জঙ্গি সংগঠনের কাজকর্ম ও পরিকাঠামোগুলি বন্ধ করতে হবে পাকিস্তানকে৷ পাকিস্তান তা না করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ আর এবার উরি হামলা নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বক্তব্যে মুখ খুললেন চেতন ভগত।
নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশন সেরে ফেরার সময় পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ বলেন, “উরির ঘটনা হয়তো কাশ্মীরে ভারতের দীর্ঘদিনব্যাপী অত্যাচারেরই ফলশ্রুতি৷ উরির সেনা ছাউনিতে হামলার ১২ ঘণ্টার মধ্যে ভারত পাকিস্তানকে দোষারোপ করল৷ কোনও সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ এই অন্যায় অভিযোগ মেনে নেবেন না৷”
এই কথা চাউর হওয়ার পর খুব স্বাভাবিক ভাবেই তা আঘাত দিয়েছে ভারতীয় মনে। তবে, তাঁর বক্তব্যের প্রথমে চেতন ভগত কিন্তু সবার প্রথমেই পাকিস্তানকে দোষ দেননি। বরং, তিনি আঙুল তুলেছেন কাশ্মীরের কিছু রাজনীতিকদের দিকে যাঁরা পাকিস্তানের সমর্থনে গলা ফাটান! “দেখছি, পাকিস্তানের সমালোচনা করায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন কাশ্মীরের বেশ কিছু রাজনীতিক! এই যদি অবস্থা হয়, তবে আর আমাদের জওয়ানরা সীমান্ত পাহারা দেওয়ার কাজটা করবে কী করে! অবলম্বে এই ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়া হোক”, প্রথম টুইটে জানিয়েছেন ভগত।
দ্বিতীয় টুইটে বলেছেন তিনি, “বাইরের কাউকে উরি হামলার জন্য দোষ দিয়ে আর লাভ কী! কাশ্মীরি রাজনীতিকরাই তো দেশের মধ্যে নিরাপদে থেকে পাকিস্তানের প্রতি সহানুভূতি জাহির করছে!”
ধাপে ধাপে টুইটে চড়েছে সমালোচনার পারদ। লিখেছেন ভগত, “আমার মনে হয় ভারতের তো বটেই, এমনকী সব দেশেরই পাকিস্তানকে এবার একটা নতুন নামে ডাকা উচিত- টেররিস্তান!” চতুর্থ এবং শেষ টুইটে আবার ভেসে এসেছে কটাক্ষ! “আমরা তো দেশের অনেক কিছুরই নাম বদলে দিচ্ছি! পাকিস্তানের বেলাতেই বা তা হবে না কেন?” প্রশ্ন লেখকের!
আপনার কি মনে হয়, ঠিক বলেছেন তিনি?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.