সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে কোথায় কত ড্রোন রয়েছে? কারা তা ব্যবহার করছেন? কী কী কাজে সেগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে? সেগুলির মালিকানা কাদের হাতে? এসবই হিসেব রাখবে কেন্দ্রীয় সরকার। এ ব্যাপারে টাটকা তথ্য হাতে রাখবে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক। তাই ড্রোন নিয়ে সেনসাস শুরু করতে চলেছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক সোমবার এক নির্দেশ জারি করে বলেছে, সব ড্রোন ব্যবহারকারীকে বাধ্যতামূলকভাবে সরকারের কাছে রেজিস্ট্রেশন করে রাখতে হবে। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সব ড্রোন মালিককে এই রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। না হলে নিষিদ্ধ হতে পারে তাঁদের ড্রোনগুলি। দেশের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। সরকার চাইছে সব ড্রোনের নম্বর ও ড্রোনগুলির মালিকের ঠিকানা রেজিস্ট্রেশন করে রাখতে। অবৈধভাবে ড্রোন রাখলে বা রেজিস্ট্রার না করালে কড়া শাস্তির দাওয়াই থাকবে।
এদিকে, পাঞ্জাব সীমান্তে ফের হানা দেয় পাকিস্তানি ড্রোন। সোমবার রাতে ফিরোজপুর জেলার আকাশে দেখা য়ায় সন্দেহভাজন ড্রোন। উড়ন্ত ড্রোনটি লক্ষ্য করে সঙ্গে সঙ্গে গুলিবৃষ্টি শুরু করেন সজাগ থাকা বিএসএফ জওয়ানরা। গুলিতে সেটি ধ্বংস হয়েছে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয় বিএসএফ। ড্রোনটির হদিশ পেতে সীমান্তে তল্লাশি চলছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, ড্রোনটি ফিরিয়ে নিয়েছে পাক সেনা বা পাক গোয়েন্দারা। তবে নিশ্চিতভাবে ড্রোনটি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বিএসএফ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে ভারত-পাক সীমান্তের তেন্দিওয়ালা গ্রামে বিএসএফ-এর শামকি পোস্টের কাছেই একটি ড্রোন উড়তে দেখেন কর্তব্যরত জওয়ানরা।
বিএসএফ জানিয়েছে, প্রথমবার কিছুক্ষণ আকাশে উড়েই পাকিস্তানের দিকে ফিরে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে আবার সেটি ভারতের আকাশে ফিরে আসে। তার পরেই গুলি চালাতে শুরু করেন বিএসএফ জওয়ানরা। ড্রোনটির খোঁজে ভোর থেকে এলাকায় তল্লাশি শুরু করেন বিএসএফ জওয়ানরা। কিন্তু ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ মেলেনি। ভারতীয় গোয়েন্দারা বারবার সতর্ক করেছেন, ড্রোনের মদতে অস্ত্র, টাকা ও মাদক পাচার করছে পাক সেনা ও আইএসআই। পাঞ্জাবে খলিস্তানি আন্দেলনকে চাঙ্গা করতেই বারবার ড্রোনের সাহায্য নিচ্ছে পাকিস্তান। গত বছর একাধিকবার এইরকম ঘটনা ঘটেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.