সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খারিজ রিভিউ পিটিশন। লালকেল্লা হামলায় দোষী লস্কর জঙ্গি মহম্মদ আরিফ ওরফে আশফাকের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চ সমস্ত তথ্যপ্রমাণ দেখে জানায়, আরিফের দোষ প্রমাণিত হয়েছে। দিল্লি হাই কোর্ট যে সাজা ঘোষণা করেছিল, অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড (Death Sentence), সেটাই বহাল রাখা হল।
২০০০ সালে দিল্লির লালকেল্লায় হামলা চালায় লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba)। সেবছরের ডিসেম্বরে লালকেল্লা হামলায় শহিদ হন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই সেনা জওয়ান-সহ ৩ জন। জানা গিয়েছে, মোট ৬ জন হামলায় অভিযুক্ত ছিল। মূল অভিযুক্ত মহম্মদ আরিফকে গ্রেপ্তার করে শুরু হয় মামলা। আরিফ ওইদিন লালকেল্লায় ঢুকে পাহারারত রাজপুতানা রাইফেলসের ৭ নং ব্যাটেলিয়নের দিকে তাক করে নির্বিচার গুলিবর্ষণ শুরু করে।
২০০৫ সালে দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi High Court)আরিফের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয়। তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় আরিফ। ২০১৪ সালে শীর্ষ আদালত সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়। এরপর বৃহস্পতিবার, প্রায় ৭ বছর পর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বহাল রাখল তার ফাঁসির সাজা। বিচারপতিরা জানান, আমরা সমস্ত তথ্যপ্রমাণ, রেকর্ড খতিয়ে দেখেছি। দোষ প্রমাণিত হয়েছে। আমরা রিভিউ পিটিশন খারিজ করে আগের রায়ই বহাল রাখলাম।” এখন আরিফ দিল্লির তিহার জেলে রয়েছে। আরিফ পাকিস্তানের (Pakistan) অ্যাবোটাবাদের বাসিন্দা। সেখান থেকে লস্করের সঙ্গে যোগাযোগ এবং সক্রিয়ভাবে সংগঠনে যোগদান ও ভারতের লাল কেল্লায় হামলা।
প্রসঙ্গত, আরিফ গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে দিল্লি পুলিশের জালে ধরা পড়ে বিলাল আহমেদ কাওয়া নামে এক জঙ্গি। লালকেল্লা (Lal Quilla) হামলায় আরিফের সঙ্গেই যুক্ত ছিল সে। একসঙ্গে লালকেল্লা হামলার ছক কষে ধৃত কাওয়া। হামলার জন্য কাওয়াকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা দেয় পাকিস্তানি জঙ্গি আরিফ। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই হামলার পরই কাশ্মীরে ছদ্মনাম নিয়ে গা ঢাকা দেয় কাওয়া। তবে কয়েকদিন আগেই তার পরিচয় ফাঁস হয়ে যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে। তারপরই জাল গুটিয়ে এনে ২০১৮ সালে ধরা পড়ে কাওয়াও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.