সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাল ডায়েরিতেই লুকিয়ে কংগ্রেসের কালো রহস্য! মরুরাজ্যে শাসকদলকে একহাত নিয়ে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, চলতি বছরেই রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন। বিশ্লেষকদের মতে, রাজনীতির রণনীতি মেনেই কংগ্রেস শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্বকেই হাতিয়ার করছে বিজেপি।
বৃহস্পতিবার ভোটমুখী রাজস্থানের সিকারে এক জনসভায় বক্তব্য রাখেন মোদি। তিনি বলেন, “ওই লাল ডায়েরিতে কংগ্রেসের সমস্ত দুর্নীতি লুকিয়ে রয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে এই ডায়েরিই তাদের ভরাডুবির কারণ হয়ে উঠবে।” রাহুল গান্ধীর ‘মহব্বত কি দুকান’ মন্তব্যের পালটা দিয়ে এদিন নমো বলেন, ” এই ‘লুট কি দুকান, ঝুট কি দুকানে’র সর্বশেষ সামগ্রী এই লাল ডায়েরি। কংগ্রেস সরকারের সমস্ত দুর্নীতি ফাঁস করে দেবে সেটি।”
কী রয়েছে ওই ‘লাল ডায়েরি’তে? রাজস্থানের বরখাস্ত কংগ্রেস মন্ত্রী রাজেন্দ্র গুধাই এই তথাকথিত লাল ডায়েরির কথা প্রথম প্রকাশ্যে আনেন। কয়েকদিন আগে তিনি বলেছিলেন, “রাজস্থানের কংগ্রেস নেতা ধর্মেন্দ্র রাঠোরের বাড়িতে রেড করে এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট (ইডি)। সেখানে পাওয়া একটি লাল ডায়েরি যে কোনও মূল্যে আমাকে উদ্ধার করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। আমি না থাকলে তিনি জেলে থাকতেন।” তবে সেই ডায়েরিতে এমন কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তা স্পষ্ট করেননি গুধা।
এদিকে, লাল ডায়েরি প্রসঙ্গে রাজস্থানের (Rajasthan) মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের পালটা, “প্রধানমন্ত্রী কাল্পনিক লাল ডায়েরি দেখতে পাচ্ছেন। অথছ লাল টমেটো, লাল সিলিন্ডার দেখতে পাবেন না। মূল্যবৃদ্ধির মারে হেঁশেল যে টালমাটাল তা তাঁর নজরে পড়ছে না।” গেহলটের আরও অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান থেকে তাঁর বক্তব্য বাদ দিয়েছে পিএমও। নিজের টুইটার হ্যন্ডেলে তিনি লেখেন, “আপনি আজ রাজস্থান আসছেন। কিন্তু আপনার দপ্তর আমার ভাষণের জন্য বরাদ্দ তিন মিনিট সময় বাতিল করে দিয়েছে। তাই টুইট করেই আপনাকে এ রাজ্যে স্বাগত জানাচ্ছি।” তবে গেহলটের সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে প্রধামন্ত্রীর দপ্তরের পালটা দাবি, পায়ে চোটের জন্য অনুষ্ঠানে আসতে পারবেন না বলে নিজেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে রাজস্থান বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন মণিপুর প্রসঙ্গ ওঠে। তখনই রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে মন্তব্য করেন রাজেন্দ্র গুধা। ন্যূনতম আয় গ্যারান্টি বিল, ২০২৩ নিয়ে আলোচনার সময় কংগ্রেস সদস্যরা মণিপুরের ঘটনাটি তুলে ধরেন। এরপরেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজস্থানে মহিলাদের উপর নির্যাতন বৃদ্ধির ঘটনা কার্যত স্বীকার করে নেন রাজেন্দ্র। এ ব্যাপারে রাজ্যের শাসক দলের আত্মসমালোচনার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন তিনি। তারপরই তাঁর মন্ত্রিত্ব কেড়ে নেওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.