সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিওয়ালিতে কোনও চিনা পণ্যের ব্যবহার নয়। দেশি প্রদীপ, লাইট, মোমবাতি দিয়েই আলোর উৎসব সেলিব্রেট করবে আত্মনির্ভর ভারত। এবছর এই ছিল দেশবাসীর অঙ্গীকার। তাই উৎসবের বাজারে বিশেষ দেখা মেলেনি চিনা পণ্যের। কিন্তু তা সত্ত্বেও করোনা আবহে রেকর্ড অঙ্কের বিক্রি হয়েছে ব্যবসায়ীদের। এমন সুখবরই দিল কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT)।
গত জুন মাসে লাদাখ সীমান্তে ভারতীয় সেনার উপর চিনা সেনা আক্রমণের পর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। যতদিন অতিক্রান্ত হয়েছে, ততই ভারত-চিন সম্পর্কের ফাটল গভীর হয়েছে। চিনকে উচিত শিক্ষা দিতে এ দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে ১০০টিরও বেশি চিনা অ্যাপ। চিনা পণ্য বয়কটেরও ডাক সর্বত্র। যা এবার উল্লেখযোগ্যভাবে চোখে পড়ল দিওয়ালিতে (Diwali 2020)। বাড়ি আলোয় ভরিয়ে তুলতে সাধারণত চিনা লাইটিং, বাল্ব ইত্যাদি বেশি বিক্রি হত এতদিন। রংবেরঙের আকর্ষণীয় লাইটিংয়ের বেশিরভাগই চিনা প্রোডাক্ট। কিন্তু এবার ছবিটা একেবারেই পালটে গিয়েছে। CAIT জানাচ্ছে, তাদের তরফেও চিনা জিনিস বিক্রি বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। তাই দিওয়ালিতে কোনও চিনা পণ্য কিনতে হয়নি ক্রেতাদের। কিন্তু তাতে ব্যবসায় এতটুকুও ভাটা পড়েনি। বরং দেশের ২০টি শহর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দিওয়ালিতে ৭২ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করেছেন বিক্রেতারা।
শুধু তাই নয়, এই রেকর্ড অঙ্কের ব্যবসার কারণে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে চিন। ভারতীয় বাজারে যেখানে রমরমিয়ে বিক্রি হত নানা জিনিস, সেখানে এমন বিরাট অঙ্কের ক্ষতি চিনের কাছে কার্যত কল্পনাতীত। আত্মনির্ভর ভারতের দিকে নিঃসন্দেহে এটি বড় পদক্ষেপ। CAIT’র আশা, এই ধারা বজায় থাকলে আগামিদিনে বিক্রেতাদের মুখে আরও বেশি করে হাসি ফুটবে।
দিল্লি, মুম্বই, হায়দরাবাদ, কলকাতা, নাগপুর, রায়পুর, আহমেদাবাদ, জয়পুর, কোচি, রাঁচি, ভোপাল, লখনউ, নয়ডা, জম্মু, চণ্ডীগড়-সহ দেশের ২০টি শহর, যেখানে দিওয়ালিতে বড় অঙ্কের ব্যবসা হয়, সেই বাজার থেকেই মিলেছে এই তথ্য। দীপাবলিতে সেখানে ইলেকট্রনিক প্রোডাক্ট, নানা ধরনের গিফ্ট, খেলনা, আসবাব, জামা-কাপড়, গয়না, মিষ্টি ইত্যাদির বিক্রি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। করোনা আবহেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.