ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিড-১৯ (COVID-19) সংক্রমণের ধাক্কায় পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও স্বাভাবিক জনজীবনকে পড়তে হয়েছে বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে। রাতারাতি বদলে গিয়েছে জীবনযাপনের এতদিনকার পরিচিত ধারা। আর এর ফলে জন্ম নিচ্ছে হতাশা (Coronanxiety)। প্রতি চারজন ভারতীয়র একজনের মানসিক স্বাস্থ্য এতটাই ভেঙে পড়ছে যে তাঁদের রীতিমতো চিকিৎসা প্রয়োজন। এক সাম্প্রতিক সমীক্ষা থেকে উঠে আসছে এমনই ভয়ঙ্কর তথ্য। পাশাপাশি এও জানা যাচ্ছে, প্রতি দু’জনের একজন ভারতীয়র মধ্যে দেখা যাচ্ছে মানসিক উদ্বেগে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ।
এক ওয়েব-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্মের তরফে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। দিল্লির সাকেতে অবস্থিত ‘মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড বিহেভিয়ারিয়াল সায়েন্সেস’ ১,০৬৯ জনের উপরে এই সমীক্ষা চালিয়েছিল। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের নানা ব্যক্তির উপরে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে কীভাবে উদ্বেগ গ্রাস করছে সাধারণ মানুষকে।
গত এপ্রিল ও মে মাসে চালানো এই সমীক্ষা প্রসঙ্গে প্রজেক্টের প্রধান ড. সমীর মালহোত্রা জানিয়েছেন, সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৫৫ শতাংশ ব্যক্তির মধ্যে গুরুতর উদ্বেগজনিত সমস্যায় ভোগার লক্ষণ স্পষ্ট। পাশাপাশি প্রায় ২৭ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁদের মনের মধ্যে অন্তত একবার হলেও আত্মহত্যার চিন্তা এসেছে। ৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁদের মাথায় এমন ভয়াবহ ইচ্ছার কথা বারবার ঘুরেফিরে আসছে।
গত ২৪ মার্চ থেকে দেশব্যাপী লকডাউনের পর থেকে গোটা দেশের জনজীবন কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। ভিন রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের দেখা যায় পায়ে হেঁটেই নিজেদের বাড়িতে পৌঁছনোর চেষ্টা করতে। তাঁদের দুর্দশার পাশাপাশি যাঁরা বাড়িতে থেকেছেন তাঁদের মধ্যেও নানা কারণে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে। কেবল সংক্রমিত হওয়ার আতঙ্ক নয়, সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রের অনিশ্চয়তা, বাড়ি থেকে বেরোতে না পারা— নানা কারণে ব্যাহত হয়েছে মানসিক স্বাস্থ্য।
পরে ধাপে ধাপে আনলক করা হলেও জনজীবন স্বাভাবিক হতে পারেনি পুরোপুরি। এই পরিস্থিতিতে সাবধানতা অবলম্বন করে আতঙ্কিত না হওয়ার নিদান দিয়েছেন চিকিৎসকরা। মাস্ক পরে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যতটা সম্ভব সাবধানতা অবলম্বন করলে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনাকে প্রতিহত করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি মানসিক ভাবেও নিজেকে পজিটিভ রেখে ‘নিউ নর্মাল’ জীবনধারায় অভ্যস্ত হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.