Advertisement
Advertisement

মস্কো, বেজিং বা টোকিও নয়, দিল্লিকেই কাছে চাইছেন ট্রাম্প

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগেও ট্রাম্প বরাবর ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার পক্ষে ছিলেন৷

Reason Trump preferred  Moscow, Beijing over Delhi
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 25, 2017 9:01 am
  • Updated:January 25, 2017 9:01 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে হওয়া ফোনালাপের পর এক নতুন মাত্রা পেল ইন্দো-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক৷পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার রাতেই মোদিকে ফোন করেন ট্রাম্প৷ তার আগেই গোটা বিশ্বে জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছিল৷ ওবামার বিদায়ের পর ভারত-মার্কিন সম্পর্কের  রূপরেখা ঠিক কেমন হতে চলেছে, তা অনেকটাই নির্ভর করছিল এই ফোনালাপের উপর৷ আন্তর্জাতিক মহলের কাছে এখন তা অনেকটাই স্পষ্ট৷  ওবামা প্রশাসন যেভাবে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল, ট্রাম্প প্রশাসনও তার ব্যতিক্রম হবে না৷ সে বার্তা দিয়েই ভারতকে প্রকৃত বন্ধু আখ্যা দিলেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷

পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দিতে হাইড্রোজেন বোমা তৈরি করেছিলেন রাজীব গান্ধী

পাশাপাশি চিনের ঔদ্ধত্যে লাগাম পরাতে ভারত-মার্কিন গাঁটছড়াও ছিল জল্পনার অন্যতম বিষয়৷ এদিন কৌশলে সেদিকটিও পরিষ্কার করে দিয়েছেন ট্রাম্প৷ জানিয়ে দিয়েছেন, দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে প্রতিরোধ আসবে, তা যৌথভাবেই মোকাবিলা করা হবে৷ ফলত চিন-পাকিস্তান আঁতাত রুখতে ভারতের সঙ্গে আমেরিকা যে হাত মেলাবে এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে৷ ভারত-মার্কিন সম্পর্ক যে আরও গভীর হতে চলেছে তা স্পষ্ট করে ট্রাম্প মস্কো, বেজিং ও টোকিওকে তালিকায় পেছনে রেখে দিল্লিকে প্রাধান্য দিয়েছেন৷ এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, ক্রমশ বাড়তে থাকা ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মোদিকে একজন বিশ্বাসযোগ্য ও প্রভাবশালী নেতা হিসেবে দেখছেন ট্রাম্প৷ সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের দ্বিচারিতাতে বিরক্ত ট্রাম্প এবার ইসলামাবাদকে সরিয়ে দিল্লিকে সামরিক সহযোগী হিসেবে চাইছেন। গদর বন্দরে চিনের উপস্থিতিও আমেরিকাকে একপ্রকার বাধ্য করছে নতুন সমীকরণ খুঁজতে৷

Advertisement

আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দক্ষিণ চিন সাগরে অস্ত্র মোতায়েন বেজিংয়ের

মার্কিন মসনদে অভিষেকের পর যে কূটনৈতিকরা ট্রাম্পকে প্রথম অভিনন্দন জানিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম নরেন্দ্র মোদি৷ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগেও ট্রাম্প বরাবর ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার পক্ষে ছিলেন৷ চিনের প্রতি কড়া ব্যবস্থা ও পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক বলেও সুর চড়িয়েছিলেন তিনি৷ ট্রাম্প একাধিকার রাশিয়ার উপর থেকেও অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ তুলে নেবার পক্ষে বলেছেন৷ ট্রাম্প ও রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভারতের পক্ষে ভাল খবর বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল৷

চিন-পাকিস্তান আঁতাত রুখতে মোদির সঙ্গেই গাঁটছড়া ট্রাম্পের!

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement