Advertisement
Advertisement

Breaking News

জানেন, সমাজসেবা করতে গিয়ে কী হল রিয়েল-লাইফ রবিন হুডের?

তাঁর কীর্তিতে হতবাক গ্রামবাসী!

Real-life Robin Hood, stole from Delhi’s rich, helped the poor in Bihar
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 17, 2017 2:39 pm
  • Updated:July 17, 2017 2:39 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধনীদের অর্থ আর সম্পদ চুরি করে গরিবদের বিতরণ করে দিতেন রবিন হুড। অসহায় গ্রামবাসীরা তাঁকে দেবতার আসনেই বসাতেন। কিন্তু বাস্তবের মাটিতেও কি এমন মানুষ আছেন? এ প্রশ্ন মাথায় এলে উত্তর হবে, হ্যাঁ। আছেন। বিহারের বাসিন্দাদের কাছে ২৭ বছরের ইরফান যেন সেই রবিন হুডেরই অবতারই। গরিব গ্রামবাসীদের জন্য অর্থ লুট করে এনে ঠিক রবিন হুডের কায়দাতেই বিলিয়ে দিতেন তিনি। কিন্তু বাস্তব যে বড় কঠিন। তাই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ‘সমাজসেবা’ চালানো সম্ভব হল না তাঁর।

বিহারের গ্রামবাসীদের চোখে তিনি একজন সমাজসেবী। নাম উজালাবাবু। কী করেন, কোথা থেকে আসে এত অর্থ, সেসব নিয়ে কখনই মাথা ঘামাননি গ্রামবাসীরা। ধনীদের থেকে চুরি করা অর্থ দিয়ে গ্রামে স্বাস্থ্য শিবির খুলেছিলেন ইরফান। শুধু তাই নয়, আটটি পরিবারের ছেলে-মেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থাও করেছিলেন। তাই গ্রামের বাসিন্দারা তাঁদের উজালাবাবুকে মাথায় তুলে রাখতেন। তাঁদের কাছে ইরফান চোখের মণি। এত ছিল কয়েনের এক পিঠ। কিন্তু উলটো পিঠটা যে এক্কেবারে উলটোই। বিহারে ইরফান দেবতা রূপে ধরা দিলেও দিল্লিতে তাঁর পরিচয় চোর। কারণ দিল্লির ধনী পরিবারের দামি জিনিসপত্র লুট করেই বিহারে নিয়ে যেতেন তিনি। আর এবার সেই চুরির মাশুল দিতে হল তাঁকে। অন্তত ১২টি চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় বাস্তবের রবিন হুডকে।

Advertisement

irfaan

[সমুদ্রের গভীরে গুপ্তধনের হদিশ পেলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা]

পঞ্চম শ্রেণির পর আর পড়াশোনা করা হয়নি ইরফানের। বছর চারেক আগে চাকরির খোঁজে দিল্লি পৌঁছন। চাকরি না পেয়ে সেখানে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু তাতেও লাভের মুখ দেখতে পাননি। তারপরই মন ঘুরে যায় অন্যদিকে। বিপথে চলে যান তিনি। সমাজসেবীর মুখোশ পড়ে থাকলেও রবিন হুডের সঙ্গে একটি জায়গাতেই পার্থক্য ছিল তাঁর। চুরির একটা বড় অংশ নিজের জন্যই বাঁচিয়ে রাখতেন তিনি। দামি গাড়ি ও ঘড়ির প্রতি ছিল দারুণ আকর্ষণ। আর সেটাই কাল হল। গত ৬ জুলাই পুলিশ যখন বিহারের পাপড়ি জেলার বাড়ি থেকে গ্রামের ‘রবিন হুড’কে গ্রেপ্তার করে, তখন তাঁর হাতে ছিল রোলেক্সের ঘড়ি। পুলিশ জানায়, সম্প্রতি দামি ঘড়ি ও গয়না বিক্রি করে নামী ব্র্যান্ডের একটি গাড়িও কিনেছিলেন তিনি। যে দোকানদারের কাছে সেসব বিক্রি করেছিলেন, সেই ধর্মেন্দ্রকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে সমাজসেবী ইরফানের কথা পুলিশের কাছে অজানাই ছিল। তাই স্থানীয়দের মুখে সেসব শুনে বেশ অবাক হয়ে যান তাঁরা। একই হাল স্থানীয়দেরও। ইরফান চোর, নিজের কানে শুনেও একথা যেন বিশ্বাস করতে পারেন না গ্রামবাসীরা। হাজার হোক, উজালাবাবু তাঁদের কাছে হিন্দি ছবির হিরোর থেকে কম কিছু ছিলেন না।

[স্কুল চত্বরে মাটি খুঁড়তে উঠে এল কবর দেওয়ার সরঞ্জাম, চাঞ্চল্য তামিলনাড়ুতে]

দিল্লির দক্ষিণ-পূর্ব শাখার ডিসিপি রোমিল বানিয়া বলেন, দিল্লি ও মুম্বইয়ের পানশালায় প্রায়ই দেখা যেত ইরফানকে। একবার নাকি একটি গান শোনার জন্য ১০ হাজার টাকাও খরচ করেছিলেন। তখনই সন্দেহ হয় পুলিশের। সেই সন্দেহের সূত্র ধরেই জানা যায় পুরো কাহিনি। এতদিন ধরে গ্রামে ও বান্ধবীর কাছে নিজের পরিচয় গোপন রেখে এমন চুরি-ছিনতাই করে গিয়েছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement