সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘‘যেদিন খুশি আস্থাভোটের ব্যবস্থা করুন৷ আমি প্রস্তুত’’৷ সরকার টিকিয়ে রাখা নিয়ে দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহ ধরে কর্ণাটকে যে নাটক চলছে, সেই চিত্রনাট্যে মোড় ঘোরাতে, আত্মবিশ্বাসের সুরে শুক্রবার এমনই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী৷ সাফ জানালেন, কয়েকজন বিধায়কের জন্য রাজ্যে যে সংকটের পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তা কাটাতে বদ্ধপরিকর তিনি৷ ক্ষমতার প্রতি তাঁর কোনও মোহ নেই৷ সেজন্য উন্নয়নের উপর ভরসা রেখেই আস্থাভোটে অংশগ্রহণ করতে চান৷ এখানেই শেষ নয়, বিরোধী বিজেপিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বিধানসভার স্পিকারকে কুমারস্বামী বলেন, ‘‘কবে এবং কখন হবে আস্থাভোট, তার প্রস্তুতি শুরু করুন৷’’
[ আরও পড়ুন: বালাকোটের মতো হামলা চালাতে আত্মঘাতী ‘পঙ্গপাল বাহিনী’ বানাচ্ছে ভারত]
অন্যদিকে এদিনই কর্নাটক ইস্যুতে ধীরে চলো নীতি প্রয়োগ করল সুপ্রিম কোর্ট। বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস-জেডিএস বিধায়কদের যে সংঘাত তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়ে তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথ থেকে সরে দাঁড়াল শীর্ষ আদালত৷ বরং বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার ফের শুনানি হবে বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। তত দিন পর্যন্ত রাজ্যে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি৷ এছাড়া স্পিকার কে আর রমেশ কুমার আগেই আদালতে জানান যে, বিদ্রোহী বিধায়কদের ইস্তফা প্রসঙ্গে এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, বিক্ষুব্ধ বিধায়করা আদৌ স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছেন, নাকি তাঁদের ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই কর্ণাটক সরকারের টানাপোড়েন বেড়েছে৷ পদত্যাগ করেছে কংগ্রেস-জেডিএসের ১৩ জন বিধায়ক। পদত্যাগীরা বিজেপির দেওয়া চার্টার্ড প্লেনে চেপে মুম্বইয়ের হোটেলে গিয়ে উঠেছেন বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। ফলে কর্ণাটকে জোট সরকার পড়ে যাওয়ার অবস্থা তৈরি হয়েছে৷ সংকটের মধ্যে পড়া কর্ণাটকের সরকার বাঁচাতে অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে কংগ্রেস-জেডিএস জোট। বিক্ষুব্ধদের ফেরাতে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন কংগ্রেসের ২১ জন মন্ত্রীই। পদ ছেড়েছেন জেডিএসের সব মন্ত্রীও। এদের জায়গায় বিদ্রোহী বিধায়কদের মন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্ণাটক সরকার। তাঁদের ফিরিয়ে আনতে দিল্লি পর্যন্ত হানা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা ডি শিবকুমার৷ ইস্তফা দেওয়া ১৩ জন বিধায়কের মধ্যে ৮ জনের আবেদনপত্র মঙ্গলবারই বাতিল করেন কর্ণাটক বিধানসভার স্পিকার কে আর রমেশ কুমার। নিয়ম মেনে ইস্তফাপত্র জমা না দেওয়ার ফলেই এই সিদ্ধান্ত নিতে তিনি বাধ্য হয়েছেন বলে জানান। আর বাকি পাঁচজন বিধায়ককে এই সপ্তাহের মধ্যে তাঁর সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দেন। এরপরই আইনি দিকে এগোয় গোটা বিষয়টি৷
[ আরও পড়ুন: ‘সময়মতো চিকিৎসা হলে বেঁচে যেতেন তবরেজ’, প্রাথমিক রিপোর্টে দাবি তদন্তকারীদের ]
Karnataka CM HD Kumaraswamy in Vidhana Soudha in Bengaluru: After all these developments, I am seeking your permission & time to prove the majority in this session. #Karnataka pic.twitter.com/olx8BZ90Xx
— ANI (@ANI) July 12, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.