সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “ভেবেছিলাম আর বাঁচব না। মনে হচ্ছে আবার জন্ম হল।” সংবাদ মাধ্যমকে বললেন বিহারের মধুবনী থেকে দেওঘরে বেড়াতে আসা শৈলেন্দ্র কুমার যাদব (Shailendra Kumar Yadav)। রোপওয়ে দুর্ঘটনায় (Ropeway Accident) কোনওমতে প্রাণ বেঁচেছে তাঁর।
রবিবার বিকেলে রোপওয়ে চড়ে দেওঘরের ত্রিকূট পাহাড় (Trikut Hill) দর্শনই কাল হয়েছিল শৈলেন্দ্রের মতো প্রায় একশজন পর্যটকের। এদিন দুপুরের পর আচমকাই দু’টি রোপওয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয় বলে জানা গিয়েছে। তাতেই মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে যায়। রোপওয়ে ছিঁড়ে মৃত্যু হয় ৩ জন পর্যটকের। যাঁদের মধ্যে ২ জন মহিলা। সোমবার সকালে জানা যায়, অন্তত ৪৮ জন পর্যটক বিপজ্জনকভাবে আটকে রয়েছেন ওই রোপওয়েতে।
যদিও খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। শুরু হয় উদ্ধার কাজ। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে নামানো হয় সেনা। তার ফলেই শেষ পর্যন্ত প্রাণ বেঁচেছে বিহারের মধুবনীর বাসিন্দা শৈলেন্দ্রর। যদিও সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরে এখনও আতঙ্কগ্রস্ত তিনি। শৈলেন্দ্র জানিয়েছেন, তিনি ২০ ঘণ্টা ধরে ওই রোপওয়ের একটি ক্যাবেল কারে আটকে ছিলেন। দুর্ঘটনা ঘটার সময় সেটি ত্রিকূট পর্বতের বাবা বৈদ্যনাথ মন্দিরের কাছে পৌঁছে গেছিল। শৈলেন্দ্র বলেন, “কোনওমতে একটা চেয়ারে আটকে ঝুলে ছিলাম। সারারাত চোখের পাতা এক করতে পারিনি। বায়ুসেনার হেলিকপ্টার আমাকে উদ্ধার করে।”
ত্রিকূট পাহাড়ের দুর্ঘটনাস্থলে এখনও বায়ুসেনার দু’টি হেলকপ্টার উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। কিন্তু দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটল? প্রশাসনিক আধিকারিকদের বক্তব্য, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে। যদিও কী সেই ত্রুটি তা এখনও জানা যায়নি। এদিকে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার পরেই উদ্ধারে হাত লাগানো তো দূর, বরং ওই রোপওয়ের ম্যানেজার ও কর্মীরা পালিয়ে যান। প্রাথমিকভাবে উদ্ধার কাজে হাত লাগান স্থানীয়রা।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন টুইট করে জানিয়েছেন, প্রশাসন, সেনাবাহিনী এবং এনডিআরএফ (NDRF) কেবেল কারে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “আমি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। শীঘ্রই, সবাইকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.