সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে দু’বছর পূর্ণ হয়ে গেল নোটবাতিলের। বিরোধীদের দাবি, ২ বছর পরেও সেই অর্থে নোট বাতিলের কোনও সুফলই দেখাতে পারেনি সরকার। উলটে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে শীর্ষ ব্যাংককে। প্রথমত নতুন করে নোট ছাপতে এবং তা বিলি করতে ব্যয় হয়েছে প্রচুর টাকা। দ্বিতীয়ত বাতিল হওয়া নোটগুলি নষ্ট করতেও প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের দাবি ছিল নতুন নোট ছাপা এবং তা বিলি করতে অন্তত ৩০ হাজার কোটির লোকসানের মুখ দেখেছে আরবিআই। যদিও, সরকারিভাবে নোট ছাপতে কত খরচ হয়েছে সে তথ্য দেয়নি শীর্ষ ব্যাংক। এবার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে অস্বীকার করল আরবিআই। বিমুদ্রাকরণের ফলে যে নোট বাতিল হল তা নষ্ট করতে কত খরচ হল, সেকথা জানাতে নারাজ শীর্ষ ব্যাংক।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর যখন নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষিত হয় তখন বাজারে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট মিলিয়ে ১৫ লক্ষ ৩১ হাজার ৭৩ কোটি টাকা ছিল। এর মধ্যে ১০ হাজার ৭২০ কোটি টাকা সিস্টেমে ফেরেনি বলে আগেই জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক। প্রশ্ন হল, যে বিশাল পরিমাণ বাতিল নোট ব্যাংকের কাজে জমা পড়ল সেই নোটগুলির কী করা হল? যদি তা নষ্ট করা হয় তাহলে তাতেই বা কত খরচ হল আরবিআইয়ের? এই দুটি প্রশ্ন তুলেই রিজার্ভ ব্যাংকের উদ্দেশ্যে একটি আরটিআই করেন জনৈক চন্দ্রশেখর গৌড়।
গৌড়ের প্রথম প্রশ্নের জবাবে আরবিআই জানিয়েছে, এবছর মার্চ মাসের মধ্যেই সব নোট নষ্ট করা হয়েছে যন্ত্রের মাধ্যমে। কিন্তু দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে অর্থাৎ, বাতিল নোট নষ্ট করতে কত টাকা খরচ তা জানায়নি রিজার্ভ ব্যাংক। শীর্ষ ব্যাংকের তরফে জানানো হয়েছে, আরটিআই আইনের ৭(৯) ধারা অনুযায়ী এই তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পর নানাভাবে সমালোচিত হতে হয়েছে সরকারকে। এবছরও ৮ নভেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে কালা দিবস পালিত হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.