সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাংক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বৃহত্তর স্বার্থে সরকারি সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয় শীর্ষ ব্যাংক। একটি আরটিআইয়ের জবাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, সরকার নোট বাতিলের যে প্রস্তাব রিজার্ভ ব্যাংকের কাছে পাঠিয়েছিল তার অধিকাংশতেই আপত্তি জানান ডিরেক্টররা। এমনকী যে সময় সরকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত সরকার ঘোষণা করেছে, সেসময় পর্যন্ত ছাড়পত্র দেয়নি শীর্ষ ব্যাংক। সিদ্ধান্ত ঘোষণার একমাসেরও বেশি সময় পরে প্রস্তাবে চূড়ান্ত ছাড়পত্র মেলে।
আরটিআইয়ের জবাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী যে সময় নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছিলেন তার আড়াই ঘণ্টা আগে বৈঠকে বসেন রিজার্ভ ব্যাংকের ডিরেক্টররা। যে সময় এই সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করছেন সেসময় পর্যন্ত প্রস্তাবে সম্মতি দেয়নি শীর্ষ ব্যাংক। সম্মতি দেওয়া হয় ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬। অর্থাৎ, এক মাস এক সপ্তাহ পরে। কেন্দ্র নোট বাতিলের মূল কারণ হিসেবে যেগুলি জানিয়েছিল, তার মধ্যে মূল চারটি কারণে আপত্তি জানিয়েছে শীর্ষ ব্যাংক।
রিজার্ভ ব্যাংকের মত ছিল, নোট বাতিল প্রশংসাযোগ্য পদক্ষেপ হতে পারে কিন্তু এর সাময়িক কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। এর ফলে দেশের সার্বিক বৃদ্ধির উপর ঋণাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। যে পরিমাণ জাল টাকার নথি নোট বাতিলের সময় ছিল, তা নেহাতই নগণ্য। কালো টাকার ক্ষেত্রেও নোট বাতিলে খুব একটা সুবিধা হবে না। কারণ, কালো টাকার বেশিরভাগটাই নগদে নেই। তবে, এত আপত্তি সত্ত্বেও সরকারের জোরাজুরিতে বৃহত্তর স্বার্থে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত মেনে নেই রিজার্ভ ব্যাংক। ২০১৬ সালের, ৮ নভেম্বর নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, আরবিআইয়ের আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। নোট বাতিলে কালো টাকা বা জাল টাকা ধরার ক্ষেত্রে খুব একট সুবিধা হয়নি। বরং, সাময়িকভাবে হলেও খাক্কা খায় অর্থনীতির গতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.