সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উর্জিত প্যাটেলের পদত্যাগের পর থেকেই শুরু হয়েছিল জল্পনা। সেই জল্পনাকে সত্যি করে পদত্যাগ করলেন রিজার্ভ ব্যাংকের ‘বিদ্রোহী’ ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্য। উর্জিত প্যাটেল গভর্নর থাকাকালীন রিজার্ভ ব্যাংকের কাজে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছিলেন বিরল। তিনিই রিজার্ভ ব্যাংকের প্রথম অধিকর্তা যিনি প্রকাশ্যে মুখ খোলেন। পড়তে হয়েছিল সরকারের রোষের মুখেও। তাঁর সেই বিতর্কিত মন্তব্যের পরই প্রকাশ্যে আসে উর্জিত প্যাটেল এবং সরকারের মধ্যেকার তরজা। যার জেরে পরবর্তী কালে রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নরের পদ ছাড়েন উর্জিত।
আরবিআইয়ের নতুন গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের টিমে একমাত্র পূরনো সদস্য ছিলেন বিরল আচার্য। মাস ছয়েক বাদেই ডেপুটি গভর্নর পদে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। তাঁর আগেই সরে দাঁড়ালেন তিনি। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এমনটাই দাবি করছে। যদিও, ঠিক কী কারণে বিরল আচার্য সরে দাঁড়ালেন তা স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, আগস্টেই নিউ ইয়র্কের স্টার্ন স্কুল অব বিজনেসে অধ্যাপকের পদে যোগ দিচ্ছেন তিনি। যদিও, মেয়াদ শেষের পরই এই পদে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর।
উল্লেখ্য, গত বছরের শেষের দিকে সরাসরি সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন বিরল। তাঁর দাবি ছিল, “অনেক সময় ব্যাংকের ঋণ দেওয়ার পদ্ধতিতে হস্তক্ষেপ করছে কেন্দ্র। নিয়মে শিথিলতা আনার জন্য বারবার চাপ দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে প্রদেয় ঋণ পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।” বিরল আচার্য বলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে যাতে ভবিষ্যতে সুবিধা হয়, কিন্তু শর্ট-টার্ম সুরাহার আশায় অনেক সময়ই ব্যাংকের আর্থিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এই শর্ট-টার্ম মানসিকতা থেকে অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে সরকারর হস্তক্ষেপ থেকে শীর্ষ ব্যাংককে দূরে রাখতে হবে। সরসরি সরকারের হস্তক্ষেপ এবং মধ্যস্থতার চেষ্টা অনেক সময়ই রিজার্ভ ব্যাংকের স্বয়ংক্রিয়তাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাচ্ছে।” বিরলের এই দাবির পর রীতিমতো চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সরকার এবং আরবিআইয়ের সমপর্ক একেবারে তলানিতে চলে যায়। যার জেরে পরবর্তীকালে পদত্যাগও করতে হয় সেসময়ের গভর্নর উর্জিত প্যাটেলকে। এবার সরে দাঁড়ালেন বিরল নিজেও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.