সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দায়িত্ব নিয়ে প্রথম আর্থিক নীতি পেশ করেই চমক দিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নতুন গভর্নর উর্জিত প্যাটেল৷ এক ধাক্কায় ২৫ বেসিস পয়েণ্ট রেপো রেট কমিয়ে দিলেন তিনি৷ ফলে গত ছ’বছরে রেপো রেটের হার সবচেয়ে কমে দাঁড়াল ৬.২৫ শতাংশ৷ একইভাবে রিভার্স রেপো রেট কমে দাঁড়াল ৫.৭৫ শতাংশ৷ উৎসবের মরসুমে যা সাধারণ মানুষের কাছে খুশির খবর বয়ে এনেছে৷ কারণ এই সিদ্ধান্তের ফলে গৃহ ও গাড়ির ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার কমে যেতে পারে৷ ফলে উপকৃত হবেন ক্রেতারা৷
ইতিমধ্যেই সেনসেক্স প্রায় একশো পয়েণ্ট তাজা হয়েছে৷ বণিক মহলও ব্যাঙ্কগুলির কাছে সুদের হার কমানোর আর্জি জানিয়েছে৷ তাদের আশা, এর ফলে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি আরও ত্বরান্বিত হবে৷
উল্লেখ্য, এর আগে রেপো রেট কমানোর সিদ্ধান্ত নিতেন একা গভর্নর৷ কিন্তু এবার প্রথম নতুন নীতি কার্যকর হল৷ সিদ্ধান্ত নিল ছয় সদস্যের মানিটারি পলিসি কমিটি৷ তিনজন সরকার মনোনীত, বাকি তিনজন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের৷ প্রত্যেক সদস্যই গভর্নরের সিদ্ধান্তে সহমত হয়েছেন৷ গত ছ’মাসের মধ্যে এই প্রথম রেপো রেট কমল৷ বিগত গভর্নর রঘুরাম রাজনের বিরুদ্ধে রেপো রেট বেশি রাখার অভিযোগ করতেন অনেকে, বিশেষত শাসক বিজেপির একাংশ৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঘোষণার পরই তাকে স্বাগত জানিয়েছে কেন্দ্র৷ তাদের মত, এর ফলে ৮ শতাংশ হারে আর্থিক বৃদ্ধির লক্ষ্যে পৌঁছনো সহজ হবে৷
পর্যালোচনা নীতির পর প্যাটেলও বলেছেন, “সরকার খাদ্যদ্রব্যের মুদ্রাস্ফীতি রোধে অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে৷ আগামী মাসগুলিতে তার সুফল আমরা পাব৷ তাই ঝুঁকি নেওয়ার এটাই আসল সময়৷” কেন্দ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে সুদের হার কমানোয় ব্যাঙ্কগুলি সরাসরি গ্রাহকদের নানা সুবিধা পৌঁছে দিতে পারবে বলেও প্যাটেল মন্তব্য করেছেন৷
বণিকসভা ফিকির চেয়ারম্যান হর্ষবর্ধন নেওটিয়া বলেন, “ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য লগ্নি বাড়াতে হবে৷ সুদের হার সেক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ বিশেষত, গৃহ ও গাড়ি ঋণে তা বিরাট প্রভাব ফেলবে৷ পাশাপাশি, পরিকাঠামো, উৎপাদন ও নির্মাণ শিল্পেও এর প্রভাব পড়বে৷” ইয়েস ব্যাঙ্কের এমডি ও সিইও রানা কাপুর সুদের হার কমানো নিয়ে আশাবাদী৷
স্বাভাবিক বর্ষা, বেতন কমিশনের ফলে এক শ্রেণির মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির পাবে৷ এর ফলে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার বাড়বে বলেও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আশাবাদী৷ যার প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারেও৷ এদিন সূচক ৯১ পয়েণ্ট বেড়ে ২৮৩৩৪ পয়েণ্টে গিয়ে দাঁড়ায়৷ এই অবস্থায় বিশ্বব্যাঙ্কও জানিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭.৬ শতাংশ ও আগামী বছরে তা ৭.৭ শতাংশ থাকবে৷ যদিও দারিদ্র দূরীকরণ ও মানবসম্পদ উন্নয়নে ভারত চ্যালেঞ্জের সামনে পড়বে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাঙ্ক৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.