Advertisement
Advertisement

Breaking News

মাসপয়লায় নগদ জোগানে টাস্ক ফোর্স গঠন করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

চাকরিজীবীদের বেতনে নোট বদলের কোনও প্রভাবই যাতে না পড়ে...

RBI crack team to monitor payday rush
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 26, 2016 11:44 am
  • Updated:November 26, 2016 11:44 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাসপয়লায় চাকরিজীবীদের বেতনে নোট বদলের কোনও প্রভাবই যাতে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে টাস্ক ফোর্স গঠন করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া৷ কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর এসএস মুন্দ্রার নেতৃত্বের এই টাস্ক ফোর্স ২৭ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর বেতন প্রদানের সময়ে ব্যাঙ্কগুলিতে নগদ জোগানের উপর নজর রাখবেন৷ গত কয়েকমাসে এই সময়ে কোথায় কতটা নগদের চাহিদা ছিল, সেই হিসাব খতিয়ে দেখছে টাস্ক ফোর্স৷ সেই চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই এই মাসেও নগদ জোগানের ব্যবস্থা হবে৷

এদিকে, ৩০ ডিসেম্বরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বাতিল নোটে জমা হওয়া ‘ব্যাখ্যাহীন’ টাকার উপর সর্বাধিক কর-জরিমানা ধার্য করতে কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট আইন আরও কঠোর করছে বলে খবর৷ সংসদের চলতি অধিবেশনেই এই সংক্রান্ত বিল আনা হতে পারে৷ নতুন বিলের খসড়ায় ব্যাখ্যাহীন টাকার উপর ৫০ শতাংশ কর ধার্য করার প্রস্তাব থাকতে পারে৷ বাকি টাকার ৫০ শতাংশ বা মোট জমার ২৫ শতাংশ টাকার উপর চার বছরের লক-ইন পিরিয়ড (অর্থাত্‍ অ্যাকাউন্ট থেকে তোলা যাবে না) রাখার প্রস্তাব থাকার সম্ভাবনা৷ অন্যদিকে, যদি দেখা যায় স্বেচ্ছা আয় ঘোষণা প্রকল্পে প্রকাশ করা হয়নি এমন টাকা এই সময় ব্যাঙ্কে জমা হয়েছে, তবে সেক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কর ও জরিমানার প্রস্তাব নতুন বিলের খসড়ায় থাকতে পারে বলে সূত্রের খবর৷ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে একটি নতুন কর আইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ যদিও বৃহস্পতিবার একটি সূত্র দাবি করেছিল, নতুন বিলের খসড়ায় ব্যাখ্যাহীন জমা টাকায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কর ধার্য করার প্রস্তাব করতে পারে কেন্দ্র৷

Advertisement

সূত্রের খবর, বেতনের সময় সম্ভাব্য নগদ-সংকট মোকাবিলায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবারই দিল্লিতে টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুন্দ্রা৷ সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে সাধারণত মাসের ২৭ তারিখ থেকে পরের মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত কর্মচারীদের বেতন প্রদান করা হয়৷ এছাড়াও এটি পেনশন তোলারও সময়৷ বেশিরভাগ পেনশনভোগীই একসঙ্গে পুরো টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নিতে চান৷ অনেক অবসরপ্রাপ্ত ডাকঘরে মাসিক প্রকল্পে জমা টাকার সুদ তোলেন এই সময়েই৷ সে কারণেই, শীর্ষ ব্যাঙ্কের আশঙ্কা, এই সময়ে দুই সপ্তাহ টাকা তুলতে ব্যাঙ্কের শাখা ও এটিএম কিংবা ডাকঘরে গ্রাহকদের প্রবল ভিড় হবে৷ বিপুল নগদের চাহিদাও থাকবে৷
বিরোধীরাও ইতিমধ্যেই বেতনের সময় সাধারণ মানুষের নগদ-সংকট বাড়বে বলে দাবি করেছে৷ জনতার একটি বড় অংশ, যাঁরা নগদ লেনদেন ছাড়া অন্য কোনও পদ্ধতিতে লেনদেনে ধাতস্থ নন, তাঁরাও ওই দিনগুলির জন্য চিন্তায় রয়েছেন৷

আরবিআইয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কোনও মাসের ১৫ তারিখে নগদ টাকার যে চাহিদা থাকে ২৭ বা ২৮ তারিখে সেই চাহিদা ৬০-৭০ শতাংশ বেড়ে যায়৷ ২৯ থেকে পরের মাসের ৫ তারিখ সেই চাহিদাই দ্বিগুণ হয়ে যায়৷ জানা গিয়েছে, এটিএমে গ্রাহকের লাইন ছোট করতে বিভিন্ন ব্যবস্থার সঙ্গে মেশিন রিক্যালিব্রেশন নিয়েও আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে৷ টাস্ক ফোর্সে অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকরা ছাড়াও আরবিআই, বিভিন্ন ব্যাঙ্ক, ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন, ক্যাশ লজিস্টিক সংস্থা, এটিএম প্রস্তুতকারী সংস্থা এবং এটিএম পরিচালনকারী সংস্থার আধিকারিক-প্রতিনিধিরা রয়েছেন৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement