সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতে থাকা উদ্বৃত্ত অর্থ বাজারে ছাড়বে রিজার্ভ ব্যাংক। এই ব্যাপারে গত কয়েকদিন ধরে কেন্দ্রের সঙ্গে যে ‘বিরোধের গুঞ্জন’ রটেছিল, সোমবার আরবিআইয়ের গুরুত্বপূর্ণ বোর্ড মিটিংয়ে তাতে ইতি টানা হয়েছে। দীর্ঘ ন’ঘণ্টার বৈঠকের পর হাতে থাকা উদ্বৃত্ত অর্থ বাজারে ছাড়তে একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছে শীর্ষ ব্যাংক। একই সঙ্গে ছোট ব্যবসায় ২৫ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পুনর্গঠনেও সম্মত হয়েছে গভর্নর উর্জিত প্যাটেলের টিম।
[মার্কিন পানশালার বাথরুমে হিন্দু দেবতাদের ছবি, প্রতিবাদ প্রবাসী ভারতীয়র]
কেন্দ্রের সঙ্গে রিজার্ভ ব্যাংকের মূলত যে তিনটি বিষয়ে বিরোধ দেখা দিয়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম হল তাদের হাতে থাকা সঞ্চিত অর্থ। রিজার্ভ ব্যাংকের হাতে ৩.৬ লক্ষ কোটি টাকা অতিরিক্ত রয়েছে। সরকারের দাবি ছিল, ওই অর্থ ভোটের আগে উন্নয়নের কাজে লাগানো যেতে পারে। তাছাড়া ব্যাংকগুলির বিপুল এনপিএ এবং মূলধনের অভাব নিয়ে শীর্ষ ব্যাংকের বিধিনিষেধ নিয়েও কেন্দ্র উদ্বেগ প্রকাশ করে। আরবিআই ১১টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে ঋণ দেওয়ার পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ আনতে এবং নিজেদের মূলধন বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছিল। এনবিএফসি কিংবা এমএসএমই-র ক্ষেত্রে ঋণের প্রশ্নে ব্যাংক বলেছিল, বাজারে যথেষ্ট অর্থের জোগান রয়েছে। অথচ, সরকার চাইছিল ব্যাংকগুলি এই ক্ষেত্রগুলিতেই, বিশেষ করে এমএসএমই-তে আরও বেশি করে ঋণ দিক। এই নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কেরও সূত্রপাত হয়।
রিজার্ভ ব্যাংকের কাজে হস্তক্ষেপের কোনও অভিপ্রায় নেই বলে সরকারের তরফে জানানো হলেও, এই ইস্যুতে বিরোধীরা সরকারকে আক্রমণ করে। সেই পরিস্থিতিতে রিজার্ভ ব্যাংকের এদিনের বোর্ড মিটিংয়ের দিকে রাজনৈতিক মহল থেকে শিল্প মহলের তীক্ষ্ণ নজর ছিল। সন্ধ্যায় আরবিআইয়ের ইস্যু করা বিবৃতিতে জানানো হয়, মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় বোর্ডের বৈঠকে বেসিল রেগুলেটরি ক্যাপিটাল, ধুঁকতে থাকা মাঝারি-ছোট-ক্ষুদ্র শিল্পের পুনর্গঠন প্রকল্প এবং ব্যাংকগুলির পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আরবিআইয়ের ইকোনমিক ক্যাপিটাল ফ্রেমওয়ার্ক (ইসিএফ) পরীক্ষার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুর্বল এমএসএমইগুলির ঋণ পরিকাঠামো পুনর্গঠনের বিষয়টিতে আরবিআইয়ের বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কমিটি গঠন তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এই ক্ষেত্রটিতে গোটা দেশে ১২ কোটি কর্মী যুক্ত।
[হবু বউমার উচ্চতা ছেলের থেকে বেশি, অভিমানে আত্মঘাতী মা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.