সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে সরকারি রেশনের (Ration) প্রতি সাধারণ মানুষের নির্ভরতা অত্যন্ত বেশি। মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কায় সেই নির্ভরতা আরও বেড়েছে। কিন্তু মোদি সরকারের অনলাইন রেশন ব্যবস্থায় গ্রামবাংলার মানুষকে পড়তে হচ্ছে অসুবিধায়। প্রযুক্তিগত জটিলতায় রেশন না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককে। এমনই অভিযোগ জানিয়ে সমস্যার সমাধান চেয়ে সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন লকেট চ্যাটার্জির (Locket Chatterjee) দ্বারস্থ রেশন ডিলাররা।
মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে লকেটের সঙ্গে দেখা করেন ‘অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্সে’র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সংগঠনের সহ সভাপতি ডিম্পলকুমার শর্মা, ঝাড়খণ্ড শাখার সভাপতি ওঙ্কারনাথ ঝা, জম্মু ও কাশ্মীর শাখার সহ সভাপতি আবদুল রহিম শাহ ও হরিয়ানা শাখার সহ সভাপতি শ্রীশপাল গোধরা।
ঠিক কী দাবি ছিল রেশন ডিলারদের? তাঁদের দাবি, ইলেকট্রনিক পয়েন্টস অফ সেল মেশিনে কারিগরি সমস্যা কিংবা লিঙ্ক ফেলিওরের মতো কারণে আধার কার্ডের সঙ্গে আঙুলের ছাপ না মেলায় যাঁরা রেশন পান না, তাঁদের আধার নম্বর পৃথকভাবে এন্ট্রি করে রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। সেই সঙ্গে গোটা দেশে রেশনের ব্যবস্থায় বাংলা মডেল চালু করার দাবিও জানানো হয়েছে। লিখিতভাবে এমনই একগুচ্ছ দাবি জানিয়ে একটি স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়েছে লকেটের হাতে।
তাঁদের দাবির কথা শোনার পর লকেট চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বর মাসে সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে এই সমস্যাগুলি উত্থাপন করা হবে। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সারা দেশের এক জন করে প্রতিনিধিকে ডেকে দেশব্যাপী সমস্ত রেশনডিলারদের প্রস্তাবিত সমস্যাগুলি সম্পর্কে শোনার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন খাদ্য উপভোক্তা এবং গণবণ্টন বিষয়ক সংসদীয় ট্রেনিং কমিটির চেয়ারপার্সন লকেট।
উল্লেখ্য, এর আগে রেশন পরিষেবা মিলত কার্ড দেখিয়ে। কিন্তু সেই ব্যবস্থায় নানা ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল। তাই দুর্নীতিমুক্ত রেশন ব্যবস্থা চালু করতে কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। আর এর ফলেই তৈরি হয়েছে অন্য সমস্যা। রেশন না পেয়েই ফিরতে হচ্ছে বহু গ্রাহককে। যা থেকে মুক্তি পেতে মরিয়া হয়ে কেন্দ্রের দ্বারস্থ সারা দেশের রেশন ডিলাররা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.