Advertisement
Advertisement
Ratan Tata

‘বিদায় আমার বাতিঘর’, রতন টাটার প্রয়াণে শোকবার্তা অসমবয়সি বন্ধুর, কে এই শান্তনু?

রতন টাটা আর শান্তনু নাইডুর বন্ধুত্বের সমীকরণ কী?

Ratan Tata's Trusted Aide Shantanu Naidu Write
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:October 10, 2024 4:59 pm
  • Updated:October 11, 2024 1:13 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রতন টাটার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। শোকপ্রকাশ করে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকেশ আম্বানি থেকে আনন্দ মহিন্দ্রা। তবু আলাদা করে চর্চা হচ্ছে রতনের ছায়সঙ্গী তথা প্রিয় বন্ধু শান্তনু নাইডুর শোকবার্তা নিয়ে। কে এই শান্তনু? তিনি টাটার অফিসের কনিষ্ঠতম জেনারেল ম্যানেজার। এক বিশেষ সূত্রে ৩০ বছরের শান্তনুর নিকটজন হয়ে উঠেছিলেন ৮৬ বছরের রতন। কী সেই সূত্র?

ভারতীয় শিল্প জগতে মহীরুহ পতনের পর লিঙ্কডিনে শান্তনু লেখেন, “রতন টাটার মৃত্যুতে বন্ধুত্বে যে ছিদ্র তৈরি হল তা আমি বাকি জীবন ধরে পূরণ করার চেষ্টা চালাব। ভালবাসার জন্য যে মূল্য দিতে হয় তা হল বেদনা। বিদায়, আমার প্রিয় বাতিঘর।” এই বার্তার সঙ্গেই একটি ছবিও শেয়ার করেছেন শান্তনু। সেখানে দু’জনকে একসঙ্গে বিমানযাত্রা করতে দেখা গিয়েছে। এই পোস্ট থেকে স্পষ্ট যে শান্তনু ও রতনের অসমবয়সি সম্পর্ক কতটা গভীর ছিল।

Advertisement

বলে রাখা ভালো, রতনকে অফিসের কাজে নিয়মিত সাহায্য করতেন শান্তনু। সেই সাহায্যই ফেসবুক, এক্স, ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিকমাধ্যমে সড়গড় করে তুলেছিল টাটা গোষ্ঠীর সর্বময় কর্তাকে। অশীতিপর শিল্পপতির ইনস্টাগ্রাম অনুরাগীর সংখ্যা যে পাঁচ লক্ষের বেশি তা শান্তনুর প্রশিক্ষণের ফল। এর পরই প্রশ্ন ওঠে, কে এই শান্তনু? রতনের সঙ্গে তাঁর আলাপ হল কীভাবে। এমন অসমবয়সি দু’জন বন্ধু হয়ে উঠলেন কীভাবে?

রতন টাটা আর শান্তনু নাইডুর বন্ধুত্বের সমীকরণ আসলে পশুপ্রেম। কুকুর-বিড়ালদের প্রতি সহমর্মিতাই উভয়কে কাছাকাছি এনেছিল। ২০১৪ সালে প্রথম দেখা হয় দু’জনের। শান্তনু পথকুকুরদের গাড়ি চাপা পড়া থেকে রক্ষা করার বিষয়ে উদ্যোগী হন। যা নজরে আসে রতনের। তিনি শান্তনুকে তাঁর হয়ে কাজ করার আমন্ত্রণ জানান। কাজ করতে করতে সম্পর্ক গভীর হয়। কয়েক বছরের মধ্যে রতন টাটার ছায়াসঙ্গী হয়ে ওঠেন শান্তনু।

উল্লেখ্য, পুণের বাসিন্দা শান্তনু নাইডু। পুণে বিশ্ববিদ্যালয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেন। টাটাদের পরিবারের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের পুরনো জানাশোনা থাকলেও শান্তনুর পরিবারের কেউ কখনও রতন টাটার সঙ্গে সরাসরি কাজ করেননি। শান্তনু টাটা এলেক্সিতে কাজ শুরু করেন এক জন জুনিয়র ডিজাইনার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে। সেবার দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে রাস্তার কুকুরদের জন্য আলো জ্বলা কলার বানানোর সিদ্ধান্ত নেন শান্তনু। ‘মোটোপজ’ নামের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও তৈরি করেন।টাটার নিউজলেটারে জায়গা করে নেয় ঘটনাটি। যা নজরে পড়ে তৎকালীন চেয়ারম্যান রতন টাটারও।

এর পরেই বদলে যায় শান্তনুর জীবন। পশুপ্রেমী রতন নিজেই যোগাযোগ করেন শান্তনুর সঙ্গে। সেই শুরু। মাঝে পড়াশোনার জন্য চাকরি ছাড়েন শান্তনু। যদিও পরবর্তীকালে টাটা গোষ্ঠীর প্রধানের ইচ্ছাতে তাঁর ব্যক্তিগত বিজনেস অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে কাজ শুরু করেন। এই বন্ধুত্ব অটুট ছিল ‘বাতিঘর’ নিভে যাওয়ার আগে অবধি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement