সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে মহামারী, অন্যদিকে চাকরি হারানোর ভয়। দুইয়ের জাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে মধ্যবিত্তরা। তথ্য প্রযুক্তি থেকে গাড়ি-সমস্ত শিল্পের একই হাল। খরচ কমাতে ব্যাপকহারে ছাঁটাই করছে প্রায় সব সংস্থা। বিভিন্ন সংস্থার এই মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করলেন টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার রতন টাটা (Ratan Tata)। তাঁর সাফ কথা, “কর্মী ছাঁটাই সংস্থার সমস্যার কোনও সমাধান হতে পারে না।”
করোনা পরিস্থিতির সুযোগে বহু সংস্থা ব্যাপকহারে ছাঁটাই করেছে। বেতন কমিয়েছে কর্মীদের। উল্লেখ্য, টাটা (Tata) গোষ্ঠীর কোনও সংস্থা থেকে এখনও পর্যন্ত কর্মী ছাঁটাই হয়নি। উচ্চপদস্থ কিছু কর্মীর ২০ শতাংশ বেতন কমানো হয়েছে ঠিকই কিন্তু কাউকে ইস্তাফা দিতে বাধ্য করা হয়নি। অথচ এই গোষ্ঠীর একাধিক ব্যবসায় প্রচুর লোকসান হয়েছে। তবে কর্মীদের গায়ে তার আঁচও পড়েনি। এমন পরিস্থিতিতে কর্মী ছাঁটাই ‘অসংবেদনশীলতার পরিচয়’ বলেও মন্তব্য করেছেন রতন টাটা।
টাটা (Tata) গোষ্ঠীর কর্ণধারের কথায়, “ভারতের কিছু কর্পোরেট সংস্থা যে ভাবে কর্মী ছাঁটাই করেছে তা খুবই হঠকারী পদক্ষেপ। এর থেকে বোঝা যায়, এ সব সংস্থার নেতৃত্বস্থানে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কোনও সহানুভূতি নেই।” এক ওয়েবসাইটেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রতন টাটা (Ratan Tata) আরও বলেন, “কোনও প্রতিষ্ঠান তার কর্মীদের প্রতি সংবেদনশীল না হলে টিকে থাকতে পারে না। মানছি যে, করোনা (Corona Virus) সংকটে সকলেই আক্রান্ত। কিন্তু তা সত্ত্বেও সকলে মিলে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য পথ বের করতে হবে। যেমন, ওয়ার্ক ফ্রম হোম একটা সমাধানের পথ, কিন্তু কর্মী ছাঁটাই সমাধানের পথ নয়। ভুলে গেলে চলবে না, সব থেকে কঠিন সময়েই নতুন পথ বেরোয়।”
পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Workers) সমস্যার বিষয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। লকডাউনের (LockDown) প্রথম পর্যায়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা দেখে টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার মর্মাহত। তাঁর কথায়, “এই মানুষগুলিই আপনার জন্য কাজ করেছেন। তাদের গোটা কেরিয়ার আপনার সংস্থার জন্য দিয়েছেন। আর তাঁদের মাথা থেকেই কিনা ছাদ কেড়ে নিলেন! কর্মীদের প্রতি আচরণের এই আপনাদের নমুনা? নৈতিকতা বোধ?” স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই সাক্ষাৎকার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এই শিল্পপতিকে কুর্নিশ জানিয়েছে নেটজনতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.