সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোগগুরুর নয়া ফতোয়া। দুটির বেশি সন্তান হলেই সব ক্ষেত্রে ‘বিয়োগ’! তাঁর এই নিদানেই পরেই গুণভাগ করতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। হল্লা জনমনেও। যাঁদের দু’টির বেশি সন্তান তাঁদের ভোটাধিকার থেকে শুরু করে সমস্তরকম সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের দাওয়াই দিলেন যোগগুরু বাবা রামদেব। সম্প্রতি আলিগড়ে তাঁর সংস্থা ‘পতঞ্জলি’র একটি পোশাকের দোকানের উদ্বোধনে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তিনি।
রামদেবের উক্তি, “যাঁদের দু’টির বেশি সন্তান হবে তাঁদের ভোটাধিকার দেওয়া উচিত নয়। সরকারি চাকরি ও চিকিৎসার সুবিধাও কেড়ে নিতে হবে। বাচ্চাদের সরকারি স্কুলে ভর্তি নেওয়া যাবে না। এঁরা হিন্দু বা মুসলিম যেই হোক, একই নিয়ম করতে হবে। তবেই দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।” সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের উদ্দেশেও এই ‘দুয়ের’ ফরমুলা জারি করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রামদেব। তাঁর কথায়, “দুয়ের বেশি সন্তান রয়েছে এমন ব্যক্তিদের ভোটেও লড়া উচিত নয়।” লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি ঘনিষ্ঠ বাবা রামদেবের এমন বক্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে যোগগুরুর জনসংখ্যা বিস্ফোরণ প্রতিরোধের দাওয়াইয়ে অসন্তুষ্ট বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষও।
উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের মতো মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় রামদেবের এই বক্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এটাই প্রথম নয়, এর আগেও ৫২ বছরের এই যোগী নিজের উদাহরণ দিয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ইস্যুতে খোঁচা দিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, “আমার মতো মানুষ যাঁরা বিবাহ করেননি তাঁদের বিশেষ সম্মান প্রদান করা উচিত। আমি যেখানে যাই সেখানে কোনও পরিবার নিয়ে যাই না, তাই অকারণে বিশাল ব্যাগও থাকে না। আমি পতঞ্জলির মতো ব্র্যান্ড তৈরি করেছি। এমন আরও এক হাজারটি ব্র্যান্ড তৈরি করতে চাই। যা ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বে ভারতকে শ্রেষ্ঠ অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করবে।” তবে সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার প্রসঙ্গে এবার রামদেব যে ‘উপদেশ’ দিয়েছেন তাতে বেজায় ক্ষুব্ধ কংগ্রেস, সপা-বসপা-সহ উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার বিরোধী দলগুলি। একাংশের মতে, সংখ্যালঘুদের আক্রমণ করেই রামদেব এমন বলেছেন। কোনও দম্পতি কতজন সন্তানের জন্ম দেবেন তা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.