দীপাঞ্জন মণ্ডল, দিল্লি: রাম জন্মভূমিতে যে আকারের ধ্বংসাবশেষ মিলেছে, তা প্রমাণ করে সেখানে রামমন্দির ছিল। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার শুনানিতে এই দাবি করলেন রামলালা বিরাজমান সংগঠনের আইনজীবী সি এস বৈদ্যনাথন। সংশ্লিষ্ট মামলার শুক্রবার ছিল সপ্তম দিন। এই মামলার দৈনিক শুনানি চলেছে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে। বেঞ্চের তরফে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোনও তাড়াহুড়ো না করে সকল পক্ষের বক্তব্য শোনা হবে।
বৈদনাথন গত তিনদিন ধরে বক্তব্য রেখেছেন তাঁর দাবির সপক্ষে। এর আগে তিনি বলেছেন, মানুষের বিশ্বাসই প্রমাণ করে যে ওই জায়গায় রামমন্দির ছিল। শুক্রবার তিনি এএসআই-এর তথ্য উল্লেখ করে বিতর্কিত জমিতে মসজিদের আগে রামমন্দির তৈরি হয়েছিল বলে দাবি করেন। এর স্বপক্ষে মসজিদের ধ্বংসাবশেষের কিছু ছবিও পেশ করেছেন বেঞ্চের সামনে। তাঁর কথায়, মসজিদের থামে যে ধরনের কারুকার্য রয়েছে তা কখনওই কোন মসজিদে থাকে না। শরিয়ত আইন মেনেই থাকে না।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মুসলিম প্রার্থনা করছে মানেই সেই জায়গা তাদের এমনটা নয়। প্রার্থনা রাস্তাতেও করা যায়। তার মানে এই নয় যে রাস্তাকে কেউ নিজেদের বলবে। আমি জানিয়েছি যে সেই জায়গায় কোনও মসজিদ ছিল না। হয়তো জায়গাটিকে মসজিদ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে প্রার্থনার জন্য। কিন্তু, এটা শরিয়ত আইন মোতাবেক তৈরি মসজিদ নয়। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর এএসআই-এর আধিকারিকরা এলাকাটি পর্যবেক্ষণ করেন। সেই পর্যবেক্ষণে উঠে আসে, দ্বিতীয় শতকে ওখানে একটি বিরাট কাঠামো ছিল। সেটি মন্দির বা মণ্ডপের থাম বলেও অনুমান। এছাড়া আরও যে সমস্ত সামগ্রী পাওয়া যায়, তা থেকে বলা হয়েছিল যে সেটি মন্দিরই ছিল। তবে তা রামমন্দিরই কি না তা বলা হয়নি। কিন্তু, যদিও তার পুরো সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ মানুষের বিশ্বাস যে অযোধ্যাই হল রাম জন্মভূমি।’
তাঁর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিচারপতি বোবড়ে এবং বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, বিষয়টি কাঠামোর নয়, বিষয়টি ধর্মীয়। অর্থাৎ এই কাঠামোগুলি ধর্মের সঙ্গে যুক্ত কি না, সেই বিষয়টিকে দেখতে হবে। বিচারপতিদের এই প্রশ্নের উত্তরে বৈদ্যনাথন বলেছেন, পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে ওখানে বিশাল আকৃতির একটি কাঠামো ছিল। আর যে সময়ে সেটি তৈরি হয়েছিল তখন সাধারণ মানুষের বড় ধরনের যাওয়ার জায়গা ছিল শুধুমাত্র মন্দির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.