সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডেরা সাচা সওদা প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের শাস্তি ঘোষণা হবে আজ দুপুর আড়াইটে নাগাদ। তার আগে কার্যত অঘোষিত কারফিউ জারি রয়েছে হরিয়ানা জুড়ে। থমথমে পাঞ্জাবও। রোহতকে যে জেলে ধর্ষক বাবার শাস্তি ঘোষণা হবে, সেটিকে কার্যত দুর্গে পরিণত করেছে সেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনী। কেউ অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাম রহিমকে ভারতীয় দণ্ডবিধির যে সমস্ত ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছে, তাতে তার ন্যূনতম সাত বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে৷ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা (ধর্ষণ) ও ৫০৬ ধারায় (ভয় দেখিয়ে অপরাধ) দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ওই ভণ্ড ধর্মগুরু।
Spl CBI judge leaves from Panchkula,expected to reach Rohtak within 40 min.Court proceedings at Sonaria jail to begin at 2:30 #RamRahimSingh pic.twitter.com/l2QDYFdUoS
— ANI (@ANI) August 28, 2017
Haryana: Railway stations deserted in Karnal ahead of #RamRahimVerdict, security on alert pic.twitter.com/sKUb9SrSe7
— ANI (@ANI) August 28, 2017
#Punjab: Flag march being conducted by police and Rapid Action Force in Barnala ahead of rape convict Dera Chief #RamRahimSingh‘s sentencing pic.twitter.com/IisHCbCReB
— ANI (@ANI) August 28, 2017
ধর্ষণ কাণ্ডে আদালতে রাম রহিম দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর হরিয়ানা-সহ পাঞ্জাব, দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন অংশে যে হিংসা ছড়ায়, তা যে মোটেও ক্ষুব্ধ ভক্তদের স্বতঃস্ফূর্ত আবেগ ছিল না, সেই খবর এখন প্রকাশ্যে। জানা গিয়েছে, ডেরার নেতারা আগে থেকেই বড়সড় গোলমাল পাকানোর চক্রান্ত করে রেখেছিল। রাজ্যের গোয়েন্দারা যা আঁচ করতে পারেনি। সিরসায় সদর দপ্তরে ডেরা অনুগামীরা এক গোপন বৈঠকে বসে ‘ছক’ হয়েছিল, পঞ্চকুলার বিশেষ সিবিআই আদালতের রায় ঘোষণা হলেই জেলা সদরের সমস্ত সরকারি দফতরে এবং সরকারি পরিবহণের বাসে আগুন ধরিয়ে দিতে হবে। ওই পরিকল্পিত হিংসার বলি এখনও পর্যন্ত ৩৭ জন। আহত ২৫০-এরও বেশি। আজ সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হবে কি? আজ অ্যাসিড টেস্টের মুখে মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার।
Objectionable items were kept hidden in fields, interrogation underway: Navdeep Singh Virk, IGP Rohtak Range #RamRahimVerdict pic.twitter.com/v1DJgPDdYv
— ANI (@ANI) August 28, 2017
রোহতক জেলে বিশেষ এজলাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিচারককে কপ্টারে করে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে সেখানে। রোহতকে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। নজিরবিহীন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে সংলগ্ন এলাকাকেও। হরিয়ানার এডিজিপি (আইন-শৃঙ্খলা) মহম্মদ আকিল জানিয়েছেন, রোহতকে ২৩ কোম্পানি আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতি সামাল দিতে নিরাপত্তাবাহিনীকে ‘ফ্রি হ্যান্ড’ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ‘শুট অ্যাট সাইট’-এরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতে দোষী সাব্যস্ত কোনও আসামির সাজা ঘোষণার আগে পাঁচ রাজ্যে হাই অ্যালার্ট জারির ঘটনাও বিরল। হরিয়ানা ছাড়াও পাঞ্জাব, দিল্লি, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু এলাকায় হিংসার আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে প্রশাসনের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.