Advertisement
Advertisement

জেলের দেওয়ালের সঙ্গেই কথা বলছে ধর্ষক বাবা!

অন্যান্য কয়েদিদের মনোরঞ্জনের খোরাক হয়ে উঠেছে রাম রহিম।

Ram Rahim talks to jail walls, says inmates
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 3, 2017 9:09 am
  • Updated:September 29, 2019 6:13 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজপ্রাসাদ থেকে কারাগার। ‘পিতাজি’ থেকে ‘কয়েদি নম্বর-১৯৯৭’। নিয়ম করে ‘হাজির হ্যায়’ বলা। সবই যেন ভয়ানক দুঃস্বপ্ন। কিছুতেই বাস্তবকে মেনে নিতে পারছে না ভণ্ড বাবা রাম রহিম। ফাঁসে পড়ে হাঁসফাস করছে বাবা। কখনও কান্নাকাটি তো কখনও তুমুল চিৎকার। জেলের অন্যান্য কয়েদিদের মনোরঞ্জনের খোরাক হয়ে উঠেছে রাম রহিম। এবার ফের নুতন নাটক শুরু করেছে ভণ্ড বাবা। ৮/৮-এর জেলের কুঠুরিতে নাকি দেওয়ালের সঙ্গে কথা বলছে বাবা। আর তাতেই তার মানসিক ভারসাম্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

[জানেন, গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের বিপুল জনপ্রিয়তার রহস্যটা কী?]

Advertisement

দুই সাধ্বীকে ধর্ষণ করার অপরাধে ২০ বছরের জেল হয়েছে রাম রহিমের। রোহতকের সুনারিয়া জেলে বন্দি রয়েছে গুরমিত। ‘বাবা’ নয় এখন তার পরিচয় ‘কয়েদি নম্বর ১৯৯৭’। কিছুদিনের মধ্যেই কারাগারে মালির কাজে নিযুক্ত করা হবে তাকে বলে জেল সূত্রে খবর। দৈনিক আয় হবে ৪০ টাকা। জানা গিয়েছে, জেলে মিনারেল ওয়াটার ছাড়া অন্য জল খাচ্ছে না রাম রহিম। এবার তাকে ৪০ টাকার আয়ে দিন গুজরান করতে হবে। কারাগারে প্রথম দু’দিন খাবারের মান নিয়ে তুমুল হইচই শুরু করে রাম রহিম। রেগেমেগে খাবার ফেরত পাঠিয়ে দেয় সে। তবে কথায় আছে ‘খিদে পেলে বাঘও ঘাস খায়’। তাই এবার দিব্যি জেলের খাবার খাচ্ছে বাবা।

[নেপালেই কি গা ঢাকা দিয়েছে রাম রহিমের ‘অ্যাঞ্জেল’ হানিপ্রীত?]

ছল-চাতুরিতে রাম রহিমের বিকল্প মেলা ভার! কান্নাকাটি থেকে শরীর খারাপের ভান, কোনও কিছুতেই কাজ না হওয়ায় এখন ‘বিষণ্ন’ বাবাজি। তাই এবার দেওয়ালকেই নিজের বাণী শোনাচ্ছে বাবা। তবে অনেকেই মনে করছেন, নিজেকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে বাবা। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর পালানোর সবরকম চেষ্টা হয়েছিল। সে জন্য পুলিশের একাংশকেই কাজে লাগিয়েছিল রাম রহিম। রাম রহিমের দাবি পাঞ্জাব, হরিয়ানা-সহ গোটা উত্তর ভারতে নাকি তার অনুগামীর সংখ্যা পাঁচ কোটি। আর সে দাবি যে অমূলক নয়, গত শুক্রবারের ঘটনাই তার প্রমাণ। আর সম্পত্তি?  শুধুমাত্র হরিয়ানা সরিসাতেই অন্তত কয়েকশো কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে ডেরার। সেখানে প্রায় ৭০০ একর জমির উপর ডেরার আশ্রম। আর সেই আশ্রমে মাল্টিপ্লেক্স, শপিং মল, হাসপাতাল, স্কুল কী নেই! রয়েছে ডেয়ারি, সবজি ক্ষেতও! এককথায় হরিয়ানায় কার্যত একটা সমান্তরাল সাম্রাজ্য চালাত ধর্ষক বাবা। তবে যাই হোক না কেন এবার কৃতকর্মের সাজা মাথা পেতে নিতে হচ্ছে তাকে।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement