সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হেন কোনও অপরাধ বোধহয় নেই যা ধর্ষক বাবা রাম রহিমেরা ডেরায় হত না। একের পর এক এমন সব তথ্য প্রকাশ্যে আসছে যাতে অবাক তদন্তকারী গোয়েন্দারাও। খুন, ধর্ষণ থেকে অবৈধ গর্ভপাত করানো, বাদ নেই কিছুই। বাবার এই পৈশাচিক লালসা থেকে রেহাই পায়নি তার অনাথ আশ্রমের কিশোরী কন্যারাও। একাধিক নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছে রাম রহিম। সম্প্রতি এমনই অভিযোগ আনলেন গুরদাস সিং নামের এক ব্যক্তি।
[রাম রহিমের ডেরায় যথেচ্ছ অবৈধ গর্ভপাত, তদন্তে প্রশাসন]
নিজের স্বার্থেই অবৈধভাবে ‘শাহি বেটিয়াঁ’ নামে অনাথ আশ্রম তৈরি করেছিল রাম রহিম। আর আশ্রয় দেওয়ার নাম করে এই ‘বেটিয়াঁ’দেরই ধর্ষণ করত রাম রহিম। ধর্ষণের জেরে নাকি অনেকেই গর্ভবতী হয়ে পড়ত। তখন তাদের ডেরার হাসপাতালেই ভর্তি করা হত। বেআইনিভাবে সেখানে গর্ভপাত করানো হত বলে অভিযোগ গুরদাস সিংয়ের। একসময় গুরদাস নিজেও ভণ্ড বাবার অনুরাগী ছিলেন। কিন্তু যখন বাবার এই পৈশাচিক কীর্তির কথা জানতে পারেন, প্রতিবাদ জানাতে চেয়েছিলেন তিনি। তাঁর কথা শোনার বদলে নাকি উলটে তাঁকেই বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন গুরদাসের বাবা-মা।
[ভণ্ড ‘বাবা’দের তালিকায় রামদেবের নাম নেই কেন, উঠছে প্রশ্ন]
দুই সাধ্বীকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০ বছরের কারাদণ্ড ভুগছে ডেরা সাচা প্রধান রাম রহিম সিং। কিন্তু জেলে থেকেও তাঁর নাটকের অন্ত নেই। কখনও ম্যাসাজ করার জন্য নিজের ‘অ্যাঞ্জেল’ কন্যা হানিপ্রীতের সঙ্গে থাকার আবদার জুড়ছে, আবার কখনও কান্নাকাটি জুড়ে দিচ্ছে। হালে পানি না পেয়ে আবার অভিশাপ দেওয়ার হুমকিও দিচ্ছে। এদিকে ডেরার প্রায় ৬০০ একর জায়গা জুড়ে থাকা বাবার এই সাম্রাজ্যে হানা দিয়ে যথেচ্ছ যৌনাচারের একাধিক নমুনা মিলেছে। মিলেছে ডেরার হাসপাতালে বৈআইনি গর্ভপাত করানোর প্রমাণও। জানা গিয়েছে, সেক্স অ্যাডিক্ট ছিল রাম রহিম। অস্ট্রেলিয়া থেকে বাবার জন্য আনা হত সেক্স টনিক। নিজেকে যৌন সক্ষম রাখতে তা নিয়মিত পান করত রাম রহিম। বিলাসের জন্য জলের তলায় সেক্স কেভ বানিয়েছিল। অজস্র কন্ডোম ও গর্ভনিরোধকও উদ্ধার হয়েছিল। বাবার ডেরায় একটি স্কিন ব্যাঙ্কও ছিল, যার কোনও লাইসেন্স ছিল না। এমন আর কত কাণ্ড ধর্ষক বাবা ঘটিয়েছে, তা জানতে তৎপর গোয়েন্দারা।
[প্রবল যৌন ইচ্ছায় কাতর রাম রহিম, জানালেন জেলের চিকিৎসকরা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.