Advertisement
Advertisement
গুজরাটের সন্ত্রাসদমন বিল

প্রশাসন চাইলেই আড়ি পাততে পারবে ফোনে! প্রস্তাবে ছাড়পত্র রাষ্ট্রপতির

গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ?

Ram Nath Kovind has given his assent Gujrat CTOC Bill
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:November 5, 2019 7:27 pm
  • Updated:November 5, 2019 9:30 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এর আগে তিনবার রাষ্ট্রপতির কাছে এসেছিল বিল। কিন্তু, কংগ্রেসি জমানার রাষ্ট্রপতিরা তাতে ছাড়পত্র দেননি। ২০০৪ সালের পর মোট তিনবার বিলটি রাষ্ট্রপতির কাছে ছাড়পত্রের জন্য পেশ করা হয়। কিন্তু, একবারও তাতে ছা়ড়পত্র দেননি সেসময়ের রাষ্ট্রপতিরা। এবার রামনাথ কোবিন্দের হাত ধরে ছাড়পত্র পেয়ে গেল গুজরাট সরকারের সংগঠিত অপরাধ এবং সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রক বিল (Gujarat Control of Terrorism and Organised Crime Bill)।


কিন্তু, এই বিলে কী এমন আছে যা নিয়ে এত বিতর্ক? বিলটির একটি অন্যতম অনুচ্ছেদ হল টেলিফোনের কথোপকথনে আড়ি পাতা। বিলটিতে বলা আছে, প্রশাসন চাইলেই যে কোনও ব্যক্তির টেলিফোনে কথোপকথনে আড়ি পাততে পারবে। এবং ফোন ট্যাপিংয়ের মাধ্যমে পাওয়া তথ্য বা অডিও রেকর্ডিংকে বৈধ বলে ঘোষণা করা হবে। অর্থাৎ, গুজরাটে পুলিশ চাইলেই যে কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর ফোন ট্যাপ করতে পারবে। এবং ওই ব্যক্তির গোপন কথোপকথনকে তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বাংলা বললে মিলবে না চাকরি, অঘোষিত নিয়ম বেঙ্গালুরুর আবাসনগুলিতে!]

গুজরাট সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী প্রদীপসিন জাদেজা, রাষ্ট্রপতির সম্মতির কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, “এতদিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন সফল হল। এই বিলটির অন্যতম একটি বৈশিষ্ট হল এখন থেকে ট্যাপ করা ফোনের কথোপকথনও বৈধ প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে। এই বিলের আরও একটি গুণ হল, এখন থেকে যে অপরাধ দমনের জন্য বিশেষ আদালত ও বিশেষ আইনজীবী নিয়োগ করা যাবে। এখন আমরা চাইলেই বেআইনিভাবে কেনা সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে পারব। এমনকী, সম্পত্তির আদানপ্রদানের চুক্তিও বাতিল করতে পারব।”

[আরও পড়ুন: BSNL-এর স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প ঘোষণা কেন্দ্রের, চাকরি হারাতে পারেন বহু কর্মী]

উল্লেখ্য, এই বিলটি প্রথমে অন্য নামে পেশ হয় ২০০৪ সালে। তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিল পেশ করেন। সন্ত্রাসবাদ দমনে এই বিলটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে বর্তমান বিজেপি সরকার। কিন্তু, এখানে প্রশ্ন উঠছে নাগরিকদের গোপনীয়তার অধিকার নিয়ে। সরকার যদি যে কোনও সময় যার তার ফোন ট্যাপ করার অধিকার পায়, তাহলে গোপনীয়তার অধিকার কীভাবে রক্ষিত হল?

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement