নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: রাম মন্দির নির্মাণের জন্য কী ধরনের পথ অবলম্বন করা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে সরকারের অন্দরে। সরকার অধ্যাদেশের রাস্তা ধরবে, নাকি সংসদে এই সংক্রান্ত বিল নিয়ে এসে মন্দির নির্মাণের পথ সুগম করবে, কিংবা একেবারে অন্য কোনও রাস্তা নেওয়া হবে-তা নিয়ে আলোচনা চলছে জোরকদমেই। সোমবার দিল্লিতে কেন্দ্র সরকারের এক উচ্চ মহলের সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। রামমন্দির যে তৈরি হবেই, তা জোরের সঙ্গেই জানিয়েছেন তিনি। তবে কবে এবং কীভাবে, সে বিষয়ে এখনই মুখ খুলতে রাজি হননি। সরকারের উচ্চ মহলের সূত্রের কথায়, “মন্দির হবেই। কবে, সেটাও বলে দেওয়া হবে। আর কীভাবে হবে সেটা দেখুন। আপনারা যখন কাটলেট খান তখন কি সেটা কীভাবে তৈরি করা হয়েছিল, জানতে চান? সেটা দেখলে তো আপনারা কাটলেট খেতেই পারবেন না। আর রামমন্দির তৈরি হবে কেন বলছেন! মন্দির তো রয়েইছে, সেটিকেই বড় করে করা হবে।”
সুপ্রিম কোর্টে এখনও রামমন্দির সংক্রান্ত জমি বিবাদের মূল মামলার শুনানিই শুরু হয়নি। অথচ তার আগেই সরকারের তরফে মন্দির তৈরির বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু তাৎপর্যপূর্ণ। আদালতে মামলার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সরকারি সূত্রের কথায়, “আদালতের কাজ রায় দেওয়া। সেটা সংসদের কাজ নয়। কিন্তু সংসদ বিষয়ের গুরুত্বটা পরিবর্তন করতে পারে।” অতীতে গুজরাতে সোমনাথ মন্দির পুনরায় তৈরির সময়ে যে ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছিল তা আইনের মাধ্যমে হয়নি। সেই বিষয়টিও উদাহরণ হিসাবে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে সূত্রটি।
সরকারের পক্ষ থেকে তড়িঘড়ি রাম মন্দির নিয়ে আলোচনা শুরুর পিছনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ থেকে শুরু করে দেশের সাধু-সন্ত মহলের চাপকেই দায়ী করছেন অনেকে। দিন কয়েক আগেই সংঘের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, রামমন্দির তৈরির জন্য প্রয়োজনে তারা ১৯৯২ সালের মতো আন্দোলনে নামতে পারে। গত সপ্তাহেই সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে মুম্বইতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর বৈঠকে হয়। সেখানেও রামমন্দির তৈরির জন্য সরকারকে রাস্তা বার করতে হবে বলেই আরএসএসের তরফ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও সাধু-সন্তদের সঙ্গে আলোচনা করার পর, ভাগবত মোদি সরকারের উপর এবিষয়ে তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন বলেও জল্পনা রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.