সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৫ আগস্ট। সনাতন হিন্দু ধর্মের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন হিসাবে ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। অযোধ্যা ভূমিপুজোর মধ্যে দিয়ে বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের সূচনাপর্ব হল বুধবার। তবে এই রাম মন্দির আন্দোলনের সুদীর্ঘ ইতিহাসে দুজন অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। একজন অবশ্যই বিজেপির ‘লৌহপুরুষ’ লালকৃষ্ণ আডবানী (LK Advani) এবং আরেকজন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav)। রাম জন্মভূমি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত আডবানীকে আটকানোর সাহস দেখিয়েছিলেন একমাত্র লালুই।
১৯৯০ সালে গুজরাটের সোমনাথ থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত ১৮০০ কিমি যাত্রাপথে কোনও রাজ্য আটকায়নি। কিন্তু আডবানীর রথযাত্রাকে আটকে দিয়েছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। ২৩ অক্টোবর বিহারের সমস্তিপুরে শুধু রথই আটকাননি, গ্রেপ্তারও করেছিলেন আডবানীকে। তখন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। আটের দশকের শেষদিকে রাম জন্মভূমি আন্দোলন (Ram Janma Bhoomi) দেশে তুঙ্গে। হিন্দু ভোটব্যাংক টানতে মরিয়া বিজেপি তখন এই নিয়ে প্রচার শুরু করে। আর সেই আন্দোলনের একেবারে সামনের সারিতে ছিলেন বিজেপির লৌহপুরুষ। আডবানী, মুরলী মনোহর জোশী, উমা ভারতীরা তখন দেশের হিন্দুত্ববাদীদের প্রতীক।
অযোধ্যার বিতর্কিত ভূখণ্ডে বাবরি মসজিদ ভেঙে রাম মন্দির তৈরির দাবিতে ১৯৯০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর গুজরাটের সোমনাথ থেকে রথযাত্রা শুরু করেন আডবানী। যাত্রাপথে একাধিক রাজ্যে অশান্তি হলেও যাত্রা কোনও প্রশাসন আটকায়নি। কিন্তু সমস্তিপুরের কাছে আডবানীর রথযাত্রায় জল ঢেলে দেন লালু। পরে অবশ্য এই প্রসঙ্গে লালু বলেছিলেন, “শুধু দেশকে বাঁচাতে ওনাকে গ্রেপ্তার করেছিলাম। দেশকে সুরক্ষিত রাখতে এবং ভারতের সংবিধানকে রক্ষা করতে। সংরক্ষণ নিয়ে মণ্ডল কমিশনের সুপারিশের জেরে সমস্তিপুরে বিজেপির রথযাত্রা আটকাতে হয়েছিল। কিন্তু আমি ঠিক করেই নিয়েছিলাম যে লালকৃষ্ণ আডবানীকে অযোধ্যার দিকে যেতে দেব না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.