সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘোড়া কেনাবেচার আশঙ্কায় মধ্যেই শুক্রবার ৪ রাজ্যের ১৬টি রাজ্যসভা আসনের জন্য ভোটগ্রহণ। এই পর্বে রাজ্যসভার (Rajya Sabha Elections) মোট ৫৭ আসনে ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে ভোটপর্বের আগেই ৪১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছেন। বাকি ১৬ আসনে ভোটগ্রহণ শুক্রবার। সবকটি আসনেই কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা।
মহারাষ্ট্রের ৬ আসনের জন্য মোট প্রার্থী হয়েছেন ৮ জন। বিধানসভার অঙ্ক বলছে বিজেপি (BJP) নিজেদের ক্ষমতায় দু’জন প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে পারবে। কিন্তু তারা প্রার্থী দিয়েছে ৩টি। এদিকে শাসক শিবিরে শিব সেনা (Shiv Sena), এনসিপি এবং কংগ্রেস প্রত্যেকে একটি করে প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে পারবে। কিন্তু শিব সেনা প্রার্থী দিয়েছে ২টি। তাঁদের আশা একজন করে প্রার্থীকে জেতানোর পর তাঁদের জোটসঙ্গীদের হাতে যে ভোট বাড়তি থাকবে তাতেই দ্বিতীয় প্রার্থী জয়লাভ করবেন। নির্দল এবং ছোটদলগুলিও মহারাষ্ট্রের শাসক শিবিরকেই সমর্থন করছে। আসাদউদ্দিন ওয়েইসির এআইএমআইএমও সমর্থন করবে শিব সেনা জোটকেই। বিজেপিরও দাবি নিজেদের অতিরিক্ত ভোট এবং নির্দলদের সমর্থনে তাঁদের দ্বিতীয় প্রার্থী জিতবেন। এদিকে নবাব মালিক এবং অনিল দেশমুখ দুই প্রাক্তন মন্ত্রী জামিন না পাওয়ায় তাঁরা ভোট দিতে পারবেন না। সেটাও ধাক্কা দিতে পারে শিব সেনাকে।
রাজস্থানেও কঠিন লড়াই হতে চলেছে। ৪ আসনের রাজস্থান ভোটের জন্য কংগ্রেস ৩টি প্রার্থী দিয়েছে। বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে ১টি। আর নির্দল হিসাবে লড়েছেন মিডিয়া ব্যারন সুভাষ চন্দ্র (Subhash Chandra)। তাঁকে সমর্থন করছে বিজেপি। কংগ্রেসের দুটি আসনে জয় নিশ্চিত। বিজেপিরও একটি আসনে জয় নিশ্চিত। লড়াই বাকি একটি আসনের জন্য। কংগ্রেসের দাবি ছোট দল এবং নির্দলদের সমর্থনে তাঁদের প্রার্থী জিতবেন। বিজেপিরও একই দাবি। কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ এনেছে। একই অভিযোগ বিজেপিরও। ইতিমধ্যেই বিধায়কদের হোটেলে বন্দি করে ফেলেছে হাত শিবির।
কংগ্রেস (Congress) হরিয়ানার বিধায়কদেরও হোটেল বন্দি করেছে। হরিয়ানার দু’টি আসনের একটি করে পাওয়ার কথা কংগ্রেস এবং বিজেপির। সমস্যা হল, বিজেপি আবার নির্দল প্রার্থী কার্তিকেয়া শর্মাকে সমর্থন করছে। কংগ্রেসের আশঙ্কা নির্দল প্রার্থীকে জেতাতে তাঁদের বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিয়ে যেতে পারে বিজেপি। তাছাড়া কংগ্রেসের কিছু বিধায়ক দলীয় নেতৃত্বের উপর অখুশি। তাঁরাও ক্রস ভোট করতে পারে।
কর্ণাটকের পরিস্থিতি আরও জটিল। সে রাজ্যের চার আসনের জন্য প্রার্থী ৬ জন। চার আসনের মধ্যে দুটি বিজেপির এবং একটি কংগ্রেসের জেতার কথা। চতুর্থ আসনের জন্য লড়াই হওয়ার কথা বিজেপি এবং জেডিএস প্রার্থীর। বিজেপি চতুর্থ আসনটির আশায় প্রার্থী দিয়েছে ৩টি। কংগ্রেস আবার দুটি প্রার্থী দিয়েছে। জেডিএস দিয়েছে একটি প্রার্থী। কংগ্রেস যদি জোড়া প্রার্থী না দিয়ে নিজেদের একজন প্রার্থী দিয়ে জেডিএসকে (JDS) সমর্থন করত, বা জেডিএস যদি কংগ্রেসের দ্বিতীয় প্রার্থীকে সমর্থন করত, তাহলে গোল মিটে যেত। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। সেকারণেই এই জটিলতা। এখন দেখার শেষপর্যন্ত এই রাজ্যে কী পরিস্থিতি হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.