সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামরিক শক্তিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল ভারত। ভারতীয় নৌসেনার হাতে এল দেশের দ্বিতীয় স্করপেন সাবমেরিন ‘আইএনএস খান্ডেরি’। শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে অত্যাধুনিক ডুবোজাহাজটি নৌসেনার হাতে তুলে দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
[আরও পড়ুন: নৌ মহড়ার আড়ালে হামলার ছক পাকিস্তানের! যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করল ভারত]
মুম্বইয়ের মাজগাঁও ডকে এদিন সাবমেরিনটিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাজনাথ সিং। তারপরই আনুষ্ঠানিকভাবে নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয় খান্ডেরি। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং ও নৌসেনার অন্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। একই সঙ্গে এদিন পি-১৭ শিবালিকের মতো যুদ্ধজাহাজ নীলগিরি এবং একটি এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ার ড্রাই ডকও নৌসনার হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে তুলে দেওয়া হয়। পি-৭৫ প্রকল্পের অধীনে এটি নৌসেনার হাতে আসা দ্বিতীয় অ্যাটাক সাবমেরিন। এই প্রকল্পটির অন্তর্গত ছয়টি স্করপেন সাবমেরিন তৈরি করবে ভারত। ২০১৭-য় প্রথম আক্রমণে সক্ষম সাবমেরিন আইএনএস কালভরি নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয়। ফ্রান্সের সঙ্গে যৌথভাবে আইএনএস খাণ্ডেরি তৈরি হয় বলে জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। উল্লেখ্য, এই শ্রেণির তৃতীয় সাবমেরিন ‘আইএনএস করঞ্জ’। ২০১৮ সাল থেকেই সাগরে পরীক্ষামূলকভাবে টহল দিচ্ছে এই ডুবোজাহাজটি। শীঘ্রই নৌসেনার হতে চলে আসবে এটিও।
এই ডুবোজাহাজ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে স্টেট অফ দ্য আর্ট টেকনোলজি। প্রি-গাইডেড মিসাইল ব্যবহার করে প্রায় নিঃশব্দে শত্রুকে জলের নিচে ছিন্নভিন্ন করে দিতে পারে ‘আইএনএস খান্ডেরি’। প্রায় ৬৭.৫ মিটার লম্বা, ওজনে দেড় হাজার টনেরও বেশি এই ডুবোজাহাজের উচ্চতা সাড়ে ১২.৩ মিটার। এটি এমন ভাবে বানানো হচ্ছে যাতে দীর্ঘক্ষণ জলের তলায় ডুবে থাকতে পারে। ‘স্করপেন’ থেকে অনায়াসে যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করার টর্পেডো এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া যাবে। শুধু তাই নয় প্রায় শব্দহীন এই সাবমেরিনটিকে জলের তলায় খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। গোপনে শত্রুর জলসীমায় ও বন্দরের চারপাশে ‘মাইন’ বিছিয়ে দিতে এটির জুড়ি মেলা ভার। ফলে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে সমুদ্রে চিন ও পাকিস্তানকে একযোগে টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা চলে এসেছে ভারতের হাতে।
[আরও পড়ুন: ‘রাম চবুতরা’ রাম জন্মভূমি মানি না, সাংবিধানিক বেঞ্চে বলল সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.