সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিখ-বিরোধী দাঙ্গায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। এমনটাই বিস্ফোরক অভিযোগ অকালি দলনেতা ও পাঞ্জাবের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুখবির সিং বাদলের।
[বড়পর্দায় উঠে এল ৮৪’র শিখ দাঙ্গার জ্বলন্ত দলিল]
সোমবার ১৯৮৪-র কলঙ্কিত অধ্যায় ইস্যুতে কংগ্রেসকে তুলোধনা করেন ওই অকালি নেতা। শিখ-বিরোধী দাঙ্গার অন্যতম অভিযুক্ত জগদীশ টাইটলারের একটি মন্তব্যের রেশ ধরে এই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর দাবি, টাইটলার নিজে জানিয়েছিলেন যে ওই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সময় তাঁর সঙ্গেই দিল্লি চষে বেরিয়েছেন রাজীব। ফলে শিখদের হত্যা করায় উসকানি দিয়েছিলেন ইন্দিরাপুত্র তা স্পষ্ট। একই সঙ্গে এই বিষয়ে সিবিআই তদন্তের দাবিও জানান তিনি। কয়েকদিন আগেই শিখ-দাঙ্গা নিয়ে টাইটলারের একটি মন্তব্যে শোরগোল পড়ে যায়। ওই কংগ্রেস নেতা দাবি করেন, দাঙ্গা চলাকালীন তাঁর সঙ্গে দিল্লির বহু এলাকা ঘুরে বেড়ান রাজীব। দলীয় নেতাদের উপর প্রবল ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই ১৯৮৪ থেকে এ পর্যন্ত শিখ-বিরোধী যে সব দাঙ্গা ঘটেছে তার মধ্যে ১৮৬টি মামলার নতুন করে তদন্ত করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন এক বেঞ্চ এই বিষয়ে একটি তিন সদস্যের নতুন বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা নির্দেশও দেয়। কেন্দ্রের তৈরি সিট শিখ বিরোধী দাঙ্গা সংক্রান্ত যে সব ঘটনার তদন্ত করেনি সেগুলিই নতুন বিশেষ তদন্তকারী দলের কাছে পাঠানো হবে। শীর্ষ আদালতের নজরদারি প্যানেল তার রিপোর্টে জানায়, শিখ বিরোধী ২৪১টি দাঙ্গা মামলার মধ্যে ১৮৬টি কোনও তদন্ত না চালিয়েই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে এই সিট গঠন করা হবে। বিচারপতি ছাড়াও একজন কর্মরত পুলিশ আধিকারিক এবং ডিআইজি স্তরের অবসরপ্রাপ্ত একজন অফিসারকে নিয়ে এই সিট গঠন করা হবে।
[নয়া ২১ কামানের তোপধ্বনিতে এবার থেকে রাষ্ট্রপতিকে অভিবাদন]
শিখ দাঙ্গার বিভিন্ন ঘটনা তদন্ত করে দেখার জন্য ২০১৪ সালে সিট গঠন করে কেন্দ্র। মোট ২৯৩টি ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় সিটকে। ওই সব ঘটনা পুনরায় তদন্ত করে দেখার প্রয়োজন আছে কি না তা খতিয়ে দেখে সিট। সিটের সদস্য হিসাবে সুপ্রিম কোর্টের দুই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তাঁদের রিপোর্ট সর্বোচ্চ আদালতে পেশ করেন। এরপরই শীর্ষ আদালত এদিন এক নির্দেশে জানায়, শিখ বিরোধী দাঙ্গার ১৮৬টি ঘটনার তদন্তের জন্য নতুন একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হবে। উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে শিখ দেহরক্ষীর গুলিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর দেশজুড়ে আক্রমণের মুখে পড়ে শিখ সম্প্রদায়। শিখ বিরোধী সেই দাঙ্গায় প্রায় তিন হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। জখম হয়েছিলেন অনেকেই। শিখ সম্প্রদায়ের বেশ কিছু সম্পত্তিও নষ্ট হয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.