সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিন যোগের পর এবার রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন নিয়ে আরও একটি বিস্ফোরক অভিযোগ আনল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, গান্ধী পরিবার পরিচালিত এই ট্রাস্টটিতে ২০১১ সালে মোটা অঙ্কের অনুদান করেছেন বিতর্কিত ইসলামিক ধর্মগুরু জাকির নায়েক (Zakir Naik)। যিনি কিনা এই মুহূর্তে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে ভারত ছাড়া।
সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র (Sambit Patra) অভিযোগ করেন, জাকির নায়েকের যে ইসলামিক রিসার্চ অর্গানাইজেশনের বিরুদ্ধে এখন তদন্ত চলছে, সেই সংস্থাটিই ২০১১ সালের ৮ জুলাই রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে অনুদান করেছে। টাকার অঙ্কটা ৫০ লক্ষ। শুধু তাই নয়, সম্বিত পাত্রের দাবি, যে অ্যাকাউন্ট থেকে জাকির নায়েকের সংস্থা অনুদান করেছিল, সেই অ্যাকাউন্টটি এখন প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং আইনের অধীনে বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছে সরকার। এ হেন দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থার থেকে কেন অনুদান গ্রহণ করল কংগ্রেস পরিচালিত ট্রাস্ট? প্রশ্ন সম্বিত পাত্রর। তিনি আরও দাবি করেছেন, শুধু জাকির নায়েক নন, ঋণ খেলাপের দায়ে অভিযুক্ত হীরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসির একাধিক সংস্থাও রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে অনুদান করেছে। উল্লেখ্য, প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর নামে তৈরি সংস্থাটির সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। এছাড়াও পরিচালনা সমিতিতে রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও পি চিদম্বরমের মতো কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা।
এই প্রথম নয়, এর আগে খোদ বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা দাবি করেন, রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন (Rajiv Gandhi Foundation) ২০০৫-২০০৬ সালে চিন থেকে ৩ লক্ষ মার্কিন ডলার অনুদান পেয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, ওই টাকা পাওয়ার পরই ভারত ও চিনের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন। তারপরই কংগ্রেস সরকারের আমলে চিনের (China) সঙ্গে Regional Comprehensive Economic Partnership বা RCEP চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অভিযোগ, ওই চুক্তির ফলে লাভের চাইতে ক্ষতি বেশি হয়েছে ভারতের। শুধু তাই নয়, বিজেপি আরও অভিযোগ করেছে, ইউপিএ আমলে প্রধানমন্ত্রী বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকেও রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে টাকা পাঠানো হত। রাজীবের নামের ট্রাস্ট নিয়ে একের পর এক অভিযোগ আসায় বেশ অস্বস্তিতে কংগ্রেস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.