সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ নিয়ে ভারত-চিন সংঘর্ষের আবহে বাড়ছে কংগ্রেস-বিজেপি সংঘাতও। ভারতীয় রাজনীতির দুই অন্যতম প্রধান দলের অভিযোগ, পালটা অভিযোগে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। এবার ‘রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে’ টাকা ঢেলেছে চিন বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে বিজেপি।
বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ দাবি করেছেন, ২০০৫-২০০৬ সালে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে আর্থিক অনুদান দিয়েছে ভারতের চিনা দূতাবাস। শুধু তাই নয়, ওই সংস্থায় চিন থেকে নিয়মিত টাকা আসে বলেও দাবি করেছেন তিনি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাও দাবি করেছেন, চিন থেকে ৩ লক্ষ মার্কিন ডলার অনুদান পেয়েছে সংস্থাটি। উল্লেখ্য, প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর নামে তৈরি সংস্থাটির সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। এছাড়াও পরিচালনা সমিতিতে রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও পি চিদম্বরমের মতো কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা।
রবিশংকর প্রসাদের দাবি মতে, ২০০৫-২০০৬ সালে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনকে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছে চিন। সংস্থাটির নথি থেকে চিনা দূতাবাসের অনুদানের কথা জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, ওই টাকা পাওয়ার পরই ভারত ও চিনের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে সংস্থাটি। ২০১০ সালে চিনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যর সমর্থনে সরব হয়ে ওঠে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন। সূত্রের খবর, UPA সরকারের আমলে চিনের (China) সঙ্গে Regional Comprehensive Economic Partnership বা RCEP চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষর করা হয়। একাধিক প্রবীণ তথা অভিজ্ঞ আমলাদের মতামতে কান না দিয়েই ২০১১ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আনন্দ শর্মা ওই চুক্তি স্বাক্ষর করেন। যদিও চুক্তিটি খতিয়ে দেখার জন্য ২০১৬ সাল পর্যন্ত সময় ছিল। অভিযোগ, ওই চুক্তির ফলে লাভের চাইতে ভারতের ক্ষতি বেশি হয়েছে।
উল্লেখ্য, লাদাখ নিয়ে শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) নিশানা করে চলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শুধু তাই নয়, চিনের কাছে ‘আত্মসমর্পণ’ করেছেন বলে মোদীকে ‘সারেন্ডার মোদি’ বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। সর্বদলীয় বৈঠকে মোদি জানিয়েছিলেন, ভারতীয় ভূখণ্ডে কেউ (চিন) ঢোকেনি। প্রধানমন্ত্রীর সেই দাবি নিয়েও আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস (Congress)। এবার পালটা দিতে আসরে নামল বিজেপি। তাঁদের দাবি, বরাবরই চিনের সঙ্গে হতে হাত মিলিয়ে চলেছে কংগ্রেস ও গান্ধী পরিবার। রাহুল গান্ধীর চিনা দূতাবাসে যাওয়াই সেই কথা প্রমাণ করে দেয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.